ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য অর্থ আদায়ের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী

পার্লামেন্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১২
ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য অর্থ আদায়ের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী

সংসদ ভবন থেকে: ব্যবহারিক (প্রাকটিক্যাল) পরীক্ষার জন্য অর্থ আদায়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

তিনি আরো জানান, এরই মধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি এ সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত করছে।



সোমবার জাতীয় সংসদে ৭১ বিধিতে জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশের জবাবে মন্ত্রী এতথ্য জানান।

এর আগে সংসদে উত্থাপিত এক নোটিশে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য এ এন মাহফুজা খাতুন বেবী মওদুদ বলেন, “মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ব্যবহারিক (প্রাকটিক্যাল) পরীক্ষায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা বেশি নম্বর দেওয়ার কথা বলে ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দুর্নীতি। ”

তিনি এই অপরাধকে আইন করে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এধরনের গুরুতর অভিযোগের বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য বা অভিযোগ না থাকার কারণে আমরা কাউকে ধরতে পারি না। এরই মধ্যে জাতীয় শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে প্রধান করে ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি তদন্তের সময় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী কারো কাছ থেকে এই লেনদেনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। লেনদেনের সুফল পান বলেই তারা সকলে বিষয়টি গোপন রাখেন। আমরা জানি, অভিযোগগুলো সত্য, তবে কোনো তথ্য প্রমাণ পাই না। আমরা চেষ্টা করছি, কারা কারা এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। অভিযোগ প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ”
 
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “কিছু শিক্ষক ব্যক্তিস্বার্থের জন্য অর্থ আয়ে নানান কৌশল নিচ্ছেন। এরই মধ্যে আমরা কোচিং বন্ধ করেছি। একজন শিক্ষকের নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং করার অর্থ তিনি ক্লাসে পড়ান না। আমরা এটা বন্ধ করতে যাই। তবে শিক্ষকদের উপার্জনের বিষয়টি মাথায় রেখে তারা অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে পড়াতে পারবেন-- এমন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ”
 
তিনি আরো বলেন, “কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভর্তির সময় বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি নয়। আমরা যে ভর্তি নীতিমালা জারি করেছি তা অনুসরণ করলে বাড়তি অর্থ নেওয়া যাবে না। ”

বাংলাদেশ সময় : ২১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১২
এসএইচ/সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর;                                             জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর jewel_mazhar@yahoo.com

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।