ঢাকা: দাবি মেনে নেওয়ায় চলমান আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছউদ্দীন।
শুক্রবার (১৬ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ড. রইছউদ্দীন বলেন, আমাদের দাবিগুলো যেহেতু মেনে নেওয়ায় হয়েছে তাই চলমান আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করা হলো। তবে দাবিগুলো বাস্তবায়নে গড়িমসি হলে এই আন্দোলনের অভিজ্ঞতা থেকে আবার আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।
জবি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো ছিল- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসনবৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা।
এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দাবি আদায়ে কাকরাইল মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণে সমাবেশ শুরু হয়। শুক্রবার জুমার নামাজের পর দুপুর সোয়া ২টার দিকে এ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বিভাগের অ্যালামনাইরাও। সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও পল্টন থানা জামায়াতে ইসলামীর আমির শাহীন আহমেদ খান। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দ্রুত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। নয়তো সাবেক-বর্তমান সব শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আরও জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন।
প্রসঙ্গত, তিন দফা দাবি আদায়ে গত ১৩ মে দুপুরে দাবি আদায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি দল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসিতে যায়। কিন্তু সেখান থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ১৪ মে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। পরদিন ‘লং মার্চ টু যমুনা’ মৎস্য ভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের ক্রসিং মোড় এলেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় পুলিশের টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন অনেকে। এরপর থেকে কাকরাইল মোড় আটকে চলছে জবির শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি। যে কারণে ওই এলাকায় তীব্র যানজটের ভোগান্তিতে পড়ছেন নগরবাসী।
এমএমআই/আরবি