ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বললেন না প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন পাঠায়নি বলেও জানান মন্ত্রী।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এসব কাজ (প্রশ্ন ফাঁস) করছে। কী সেই উদ্দেশ্য তারাই তা ভাল বলতে পারবে।
ভালভাবে পরীক্ষা গ্রহণে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা চাইছে না ভালভাবে পরীক্ষা হোক। যদি চাইতো তাহলে সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে সরকারকে সাহায্য করত।
ফেইসবুক ও ইন্টারনেটে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, কোথাও প্রশ্ন হুবহু ছাপিয়ে দিচ্ছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ১৩টি, কোনো কোনো জায়গায় ৬০ শতাংশ, আবার কোনো জায়গায় ৭০ শতাংশ প্রশ্ন কমন পড়ছে বলে জানানো হয়েছে। এসব বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি, আমরা জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের কাছে খবর নিচ্ছি।
সাংবাদিককের কাছে আসা একটি প্রশ্নে মঙ্গলবারের পরীক্ষায় শতভাগ মিল পাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে এই পরীক্ষা বাতিল করা হবে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সারা দেশ থেকে প্রতিবেদন নিতে হবে। পাবলিক পরীক্ষা হুট করে বাতিল করতে পারি না। সারাদেশে প্রভাব আছে কি-না দেখতে হবে।
এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপার আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, গোয়েন্দা পরিদপ্তর, অন্যান্য প্রশাসনিক দপ্তর থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
মন্ত্রী বলেন, আমরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে বিজি প্রেসে প্রশ্ন ছাপাচ্ছি, সেখান থেকে নিরাপত্তা দিয়ে প্রশ্নপত্র উপজেলায় পাঠানো হচ্ছে, কীভাবে কোথা থেকে কারা এসব করছে (প্রশ্ন ফাঁস) তা দেখতে হবে।
ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) ডাকা মঙ্গলবারের হরতালে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ির শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিন প্রাথমিক সমাপনীতে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং ইবতেদায়িতে পরিবেশ পরিচিতি সমাজ ও পরিবেশ পরিচিতি বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা ছিল।
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ির সমাপনীতে মোট ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ২৬৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
বাংলাদেশের ছয় হাজার ৭৯১টি এবং দেশের বাইরে ১১টি কেন্দ্রে গত রোববার থেকে সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৪