বাকৃবি: তিন দফা দাবিতে দশম দিনের মতো অবস্থান ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অফিসার্স পরিষদ।
চাকরির বয়স দুই বছর বৃদ্ধি, কর্মকর্তাদের জন্য প্রস্তাবিত নতুন পে স্কেল সংশোধন ও কর্মকর্তা পদে শুধু কর্মকর্তাদেরই নিযুক্ত করার দাবিতে গত ২৯ মার্চ থেকে ধর্মঘট পালন করছেন তারা।
মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পরিষদের নেতারা।
মো. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন পরিষদের সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের দুই বছর চাকরির বয়স বৃদ্ধি পেলেও বাকৃবিতে তা হচ্ছে না। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সহকারী রেজিস্ট্রার/সমমান ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার/সমমান কর্মকর্তাদের বেতন স্কেলও বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
এছাড়া অফিসারদের পেদে অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকরা নিযুক্ত রয়েছেন।
এ বিষয়ে অফিসার্স পরিষদের সভাপতি মো. লুৎফর রহমান বলেন, তাদের দাবি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলেও কোনো কাজ হয়নি।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতর কর্তৃক প্রকাশিত ডায়েরিতে ক্রমানুসার নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় তা বিতরণ করা হচ্ছে না।
অফিসার্স পরিষদের দাবি, মুদ্রণ কমিটির সিদ্ধান্তকে অমান্য করে মুদ্রণ কমিটির আহ্বায়ক ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জহিরুল হক খন্দকার শিক্ষক ও হল প্রশাসনকে অফিসারদের আগে স্থান দিয়েছেন। কিন্তু বিগত ৫৪ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়েরিতে প্রথমে অফিসার এবং পরে শিক্ষক ও হল প্রশাসনের স্থান ছিল।
এ বিষয়ে মুদ্রণ কমিটির সদস্য সচিব ও জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের পরিচালক ড. আমিনুর রহমান চৌধুরী বলেন, কমিটির একজন সদস্যের (শিক্ষক) প্রস্তাবের ভিত্তিতে শিক্ষকদের নাম আগে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু হল প্রশাসনের নাম অফিসারদের পরেই রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
এ বিষয়ে মুদ্রণ কমিটির আহ্বায়ক ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জহিরুল হক খন্দকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মুদ্রণ কমিটির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতেই ক্রমানুসার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৫
এসআর