ঢাকা: বর্তমান প্রজন্মের একটি বড় অংশ সৃজনশীল ক্ষেত্রে পেশা গড়তে আগ্রহী। ব্যাংক-বহুজাতীয় কোম্পানি বা সরকারি-বেসরকারি চাকরির চিরায়ত ধ্যান-ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে অনেকেই হয়ে উঠতে চাইছেন ইন্টেরিয়র, ফ্যাশন, টেক্সটাইল, মেকআপ কিংবা জুয়েলারি ডিজাইনার।
এসব ক্ষেত্রে বর্তমানে যারা সফল, তাদের প্রত্যেকেরই পেছনের গল্পটা এক। দেখা যাবে, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ভিন্ন বিষয়ে, পরে স্বল্প মেয়াদী কোনো কোর্স করে পাহাড়সম বাধা-বিপত্তি ডিঙিয়ে নিজ নিজ স্থানে সফল হয়েছেন।
কিন্তু সময় বদলেছে। তারপরও অনেকেই হয়ত জানেন না, এসব বিষয়েও এখন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়া যায়। বা জানলেও, অধিকাংশই পিছিয়ে যান এই ভেবে, কোথায়-কীভাবে পড়ব! কেননা, এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি অমিত সম্ভাবনার দেশ হলেও, প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনার জন্য তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিষ্ঠান নেই বললেই চলে।
কাজেই এ ধরনের সৃজনশীল বিষয়গুলোতে পড়ার জন্য প্রথমে মাথায় আসে ইউরোপ-আমেরিকার কথা। কিন্তু দু’পা ভেবে আট পা পেছাতে হয় সীমাহীন খরচের কথা ভেবে। শেষ পর্যন্ত নিজের স্বপ্ন-সৃজনশীলতা নিজের ভেতরেই চাপা দিয়ে, বরাবরের মতো স্রোতে গা ভাসিয়ে সবাই বেছে নেন সেই আটপৌরে জীবন।
এই শ্যাম রাখি না কূল রাখি সমস্যার সমাধান হতে পারে, জেডি ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজি। ভৌগলিক অবস্থানে ২৭ বছরের পুরোনো এ স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটি ভারতের ব্যাঙ্গালোর শহরে অবস্থিত। ব্যাঙ্গালোরসহ মুম্বাই, দিল্লীর মতো বড় শহরগুলোতে কর্পোরেট সেন্টারের পাশাপাশি গোটা ভারত জুড়ে রয়েছে ৩০টি ক্যাম্পাস। জেডির ক্যাম্পাস রয়েছে লন্ডনের প্যাডিংটনেও।
এখন একটু জেডির কোর্সগুলোর দিকে চোখ বোলানো যাক। তিন বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি নিতে পারেন ইন্টেরিয়র ও ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে। ফ্যাশন ফটোগ্রাফি, জুয়েলারি ডিজাইন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, ফ্যাশন ডিজাইন ও প্রফেশনাল মেকআপে ছয় মাস কিংবা একবছর মেয়াদে ডিপ্লোমা কোর্স করতে পারেন। ফ্যাশন কমিউনিকেশনে মাস্টার্স করার সুযোগও রয়েছে। এবার ঝটপট বেছে নিন আপনার স্বপ্নের বিষয়টি।
আর খরচ! জেনে অবাক হবেন, জেডিতে পড়ার খরচ বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে অনেক কম। উন্নত প্রযুক্তি ও নিবিড় পর্যবেক্ষণে শিক্ষকদের বিশ্বমানের পাঠদান তো রয়েছেই। আর থাকার জন্য ক্যাম্পাসের আশেপাশে অসংখ্য হোস্টেল পেয়ে যাবেন। আধুনিক ব্যবস্থা আর উন্নত প্রযুক্তি সুবিধাসহ বাংলাদেশি ছয়-সাত হাজার টাকায় সব হয়ে যাবে।
আর হ্যাঁ, সবচেয়ে যেটা জরুরি কথা, বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেকোনো সময় জেডিতে ভর্তির দুয়ার খোলা। এজন্য কাউকে কোনো পরীক্ষায়ও বসতে হবে না। সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, নেপালসহ প্রতিবেশি সব দেশ থেকে পড়তে আসে জেডিতে। সেখানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাই কেন পিছিয়ে থাকবেন!
তাহলে আর দেরি কিসের! যেকোনো তথ্যের জন্য খোঁজ নিতে পারেন +৯১৯৯০১৯৯৯৯০৪ নম্বর ও sandra@jdindia.com ইমেইলে। তার আগে নিজেই একবার ঘুরে আসুন জেডির ওয়েবসাইট (www.jdinstitute.com)।
জেডির মেন্টর হিসেবে রয়েছেন ভারতের আইকনিক ফ্যাশন ডিজাইনার রকি এস। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও কম যান না! এক নিঃশ্বাসে চলে আসে শেন অ্যান্ড ফাল্গুনি, রেজা, গৌরব চাবড়া, উর্বশী কৌর, মেহেকা মিরপুরি, নিতিন-ইশাদের মতো তরুণ উদ্যোক্তা ও ডিজাইনারদের নাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৫
এসএস