চান্দিনা (কুমিল্লা): শ্রেণিকক্ষে পড়ানোর সময় এক ছাত্রীকে শাসন করায় শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ওই ছাত্রীর অভিভাবকের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ডা. ফিরোজা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক সঞ্জীব কুমার পালকে লাঞ্ছিত করা হয়।
এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
লাঞ্ছিত শিক্ষক সঞ্জীব কুমার পাল জানান, গত বুধবার বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির মানবিক বিভাগে ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান করছিলেন তিনি। শ্রেণিকক্ষে ১৬৪ জন ছাত্রী ছিল। প্রচণ্ড কোলাহল করায় তিনি ছাত্রীদের শান্ত করতে কয়েক ছাত্রীকে বেত্রাঘাত করেন।
এ সময় মিতু নামে এক ছাত্রীকেও বেত্রাঘাত করা হয়। বিদ্যালয় ছুটির পর এ নিয়ে ঝামেলা হলে তিনি মিতুর বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের কাছে ভুল স্বীকার করেন।
পরদিন ২৩ এপ্রিল মিতুর বাবা আব্দুস ছালাম বিদ্যালয়ের গিয়ে ওই শিক্ষককে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সঞ্জিত কুমার পাল বিদ্যালয়ের আসার পথে আব্দুস ছালাম ওই শিক্ষককে সঞ্জীব কুমার পাল মনে করে ঢিল ছুঁড়ে মারেন। ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে পৌঁছে প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানালে তিনি বিকেলে সভা ডাকেন।
সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষে বিদ্যালয় ছুটির পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূরজাহান বেগম, সিনিয়র শিক্ষক জি এম আজিজুল হক, হরিলাল দেবনাথ ও বিদ্যালয়ের প্রধান সহকারী সাইফুদ্দিনকে নিয়ে ওই ছাত্রীর বাসায় গেলে অভিভাবক আব্দুস ছালাম শিক্ষক সঞ্জীব পালের কপালে ও মাথায় আঘাত করে এবং জামা ছিড়ে ফেলেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অভিভাবক মো. আব্দুস ছালাম মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, তার মেয়ে মিতু অসুস্থ। কোনো কারণ ছাড়াই বুধবার ওই শিক্ষক তাকে প্রচণ্ড মারধর করেন। তিনি বিচার চেয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। এ নিয়ে শিক্ষকরা তার বাড়িতে এলে বাকবিতণ্ডা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৫
এসআর