ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে মানিকগঞ্জের ২৭২টি বিদ্যালয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৫
প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে মানিকগঞ্জের ২৭২টি বিদ্যালয়

মানিকগঞ্জ: শিক্ষার ম‍ূল ভিত্তি হলো প্রাথমিক বিদ্যালয়। অথচ মানিকগঞ্জ জেলার উল্লেখযোগ্য সংখ্যার প্রাথমিক বিদ্যালয়ই চলছে প্রধান শিক্ষক ‍ছাড়া।

এসব বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অবিভাবকদের মধ্যে এ নিয়ে কাজ করছে চরম হতাশা।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলার ৬৪৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৭২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই প্রধান শিক্ষক নেই।

জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই লাখ ১৩ হাজার ২১৮ জন। তারপরও বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিক দৃষ্টি নেই, অভিযোগ অভিভাবকদের।

ওই বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পূর্বের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৫৭টি এবং ২০১৩ সালে প্রথম ধাপে জেলার ১৫০টি এবং এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দাপে ১৭টি স্কুল সরকারি করণ করা হয়। এছাড়া সরকারের বিশেষ বরাদ্দের স্কুল রয়েছে ২০টি।

এর মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ১০৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩০টিতে প্রধান শিক্ষক নেই। সাটুরিয়া উপজেলার ৭৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৭টি, সিংগাইরে ৮৮টির মধ্যে ২৮টি, ঘিওরে ৮১টির মধ্যে ৩৬টি, দৌলতপুরে ৯২টির মধ্যে ৪০টি, শিবালয়ে ৭৪টির মধ্যে ৩৩টি, হরিরামপুরের ৮৫টি বিদ্যালয়ে মধ্যে ৩৯টিতে প্রধান শিক্ষক নেই।

অন্যদিকে প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ফাড়িরচর ও দৌলতপুর উপজেলার দেশগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি খালি রয়েছে।

২০১৩ সালের পরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় মেয়াদে নির্মিত ১৭টি সরকারি বিদ্যালয়ের কোনটিতেই প্রধান শিক্ষক নেই। দেশব্যাপী সরকারি বিশেষ বরাদ্দের যে ১৫শ’ টি বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে তার মধ্যে মানিকগঞ্জ জেলায় রয়েছে ২০টি বিদ্যালয়, যার কোনটিতেও প্রধান শিক্ষক নেই।

এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তা আলেয়া ফেরদৌসী শিখা বাংলানিউজকে বলেন, শিগগিরি ওইসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৫
এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।