ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বিজয় একাত্তর হল

অসন্তোষ রেখেই ‘সমাধান’, প্রত্যাখ্যান বামজোটের

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৫
অসন্তোষ রেখেই ‘সমাধান’, প্রত্যাখ্যান বামজোটের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের বাড়তি ফি নির্ধারণ নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতির আপাতত সমাধান দিয়েছেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভুইয়া।

তবে প্রাধ্যক্ষের এ সমাধান প্রত্যাখ্যান করে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করে ‍প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা।

অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরাও।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাংলানিউজকে শফিউল আলম বলেন, নির্ধারিত বার্ষিক ফি ৩ হাজার ৬শ’ টাকা থেকে জামানতের ৩শ’ টাকা কমানো হয়েছে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ৩ হাজার ৩শ’ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

তবে এ টাকা শিক্ষার্থীরা চাইলে তিন কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন। এছাড়া যারা দিতে অক্ষম, তারা আবেদন করলে যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার বিকেল থেকেই বাড়তি ফি প্রত্যাহারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে তার কার্যালয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন ছাত্রলীগ ও প্রগতিশীল ছাত্রজোট নেতাকর্মীরা। বিকেল পাঁচটা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত চলে এ বৈঠক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ এবং ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি লিটন নন্দীর নেতৃত্বে গ্রগতিশীল জোটের নেতারা প্রাধ্যক্ষের কাছে এ বাড়তি ফি প্রত্যাহারের দাবি জানান। এ সময় হলের কয়েক শ’ সাধারণ শিক্ষার্থী প্রাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।

অধ্যাপক শফিউল আলম ভুইয়া তখন ছাত্র নেতাদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সুপারিশে এ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। তা কমানোর সুযোগ নেই। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা হলে ওঠার সময় বার্ষিক এ টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার করেই হলে সিট বরাদ্দ পেয়েছিল।

এক পর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরাসরি গিয়ে প্রাধ্যক্ষের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরে ফি কমানোর দাবি জানায় এবং আবাসিক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অসাদচণের অভিযোগও তোলে।

এ ব্যাপারে প্রাধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ নেই, জানিয়ে তিনি ভবিষ্যতে এমন কিছু ঘটলে তার কাছে নাম পরিচয় গোপন রেখে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।

তবে আপাতত এ সমাধানে মোটেই সন্তুষ্ট নন হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো হলের তুলনায় এ ফি অনেক বেশি। তাছাড়া যে টাকা কমানো হয়েছে সেটা জামানতের টাকা। ওটা আমরা এমনিতেই ফেরত পেতাম। তাই প্রকৃতপক্ষে কোনো টাকাই কমানো হয় নি।

এদিকে একই দাবিতে দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। বিকেলে  প্রাধ্যক্ষকে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরসহ ৬ দফা দাবি সম্মলিত স্মারকলিপি দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৬১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৫
এসএ/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।