ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষকের অনিয়মে বাতিল হবে প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৫
শিক্ষকের অনিয়মে বাতিল হবে প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ

ঢাকা: পরীক্ষায় কোন শিক্ষক অনিয়ম করলে ওই শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

বুধবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকায় বিজি প্রেসে ২০১৬ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নকলমুক্ত এবং সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জাতীয় মনিটরিং কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।



শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোন শিক্ষক কোন কেন্দ্রে পরীক্ষায় অনিয়ম করলে, নির্ধারিত সময়ের আগেই প্যাকেট খুলে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করলে ওই শিক্ষক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেন্দ্র ও ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনও বাতিল করা হবে।

সভায় জানানো হয়, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার নিয়ম রয়েছে। কোন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিছু শিক্ষক নির্ধারিত সময়ের আগে প্যাকেট খুলে প্রশ্নপত্রের সমাধান করে দেয়।
 
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু শিক্ষক খাম খুলে প্রশ্ন বাইরে পাঠায়। আমরা সব জায়গা থেকে তথ্য নেব। যারা এই কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 
সভায় গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার নাজমুল আলম জানান, কিছু লোক আর্থিক লাভবান হতে বা সরকারকে বিব্রত করার জন্য প্রশ্ন ফাঁস করে। তিতুমীর সরকারি কলেজের শিবির নেতা ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে সরকারকে বিব্রত করার জন্য প্রশ্ন ফাঁস করেছিলো বলে স্বীকার করেছে।  
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র নিরাপদ রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ। যারা প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তারা রেহাই পাবে না। কোচিং সেন্টারকে নজরদারিতে রাখা হবে।

নাজমুল আলম আরও জানান, ফেসবুকে ৫০০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেনের মাধ্যমে প্রতারিত করার জন্য প্রশ্নপত্র বিক্রি করা হয়। এবং বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন করা হতো। আমরা বিকাশের একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছি।    
 
ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমে ভুয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে জালিয়াতরা যাতে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করতে না পারে সেজন্য উপস্থিত বিটিআরসি কর্মকর্তা তৌসিফ শারিয়ারকে নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী।

বিজি প্রেসের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ জোরদার, কোচিং সেন্টার নজরদারি, পরীক্ষা কেন্দ্রের ৫০০ গজের মধ্যে ফটোকপি মেশিনের দোকান না রাখা, প্রশ্নপত্র পাঠানোর ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী।

আগামী বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিতব্য সারা দেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রায় ১৭ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নেবে বলে সভায় জানানো হয়।
 
সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিজি প্রেস, আইন-শৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
এমআইএইচ/আরইউ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।