ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

এসএসসি’র ফরম পূরণ

অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেয়নি নীলফামারীর ১৭ বিদ্যালয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৬
অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেয়নি নীলফামারীর ১৭ বিদ্যালয়

নীলফামারী: বোর্ডের নির্দেশনার পরও এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে আদায়কৃত অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না নীলফামারীর অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি রোববার টাকা ফেরত দেওয়ার সর্বশেষ তারিখ নির্ধারণ করা হলেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে দু/একটি বিদ্যালয় ছাড়া বাকিগুলো টাকা ফেরত দেয়নি।

অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার তালিকায় নীলফামারী জেলার ১৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমান স্বাক্ষরিত গত ৪ ফেব্রুয়ারির পত্রে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৭ তারিখের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে বলা হয়।

অতিরিক্ত টাকা না দেওয়া বিদ্যালযের মধ্যে রয়েছে- নীলফামারী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ছমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নগর দারোয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়, রাবেয়া বালিকা বিদ্যা নিকেতন, শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, নীলফামারী নতুন উচ্চ বিদ্যালয়, সৈয়দপুরের লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সানফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কয়া গোলাহাট উচ্চ বিদ্যালয়, তুলশীরাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জলঢাকার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, টেঙ্গনমারী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ডোমারের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এবং ডিমলার রানী বৃন্দা রানী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ছাড়া আর কোনো প্রতিষ্ঠান আদায়কৃত অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেয়নি। সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ৭৪০টাকা এবং সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৭১০ টাকা করে প্রত্যেককে ফেরত দিয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র বোর্ডে পাঠানো হয়েছে।

নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চিত্রা সরকার বাংলানিউজকে বলেন, ফরম পূরণের সময় আমরা যে টাকা গ্রহণ করেছি, সেসময় ফেরতের নির্দেশ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষার্থীদের তা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রমাণপত্রও বোর্ডে পাঠানো হয়েছে।

অতিরিক্ত আদায় করা টাকা ফেরত দিয়ে বোর্ডে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু নুর মোহাম্মদ আনিসুল ইসলাম।

তিনি জানান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে ২৪০০ এবং বিজ্ঞান বিভাগে ২৫০০ করে টাকা নেওয়া হয়েছিল।
শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, এসএসসির ফরম পূরণের সময় বিভিন্ন অজুহাতে প্রতিষ্ঠানগুলো ২২০০ থেকে শুরু করে সাড়ে তিনহাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে। সরকারি স্কুলগুলো টাকা ফেরত দিলেও ওই তালিকায় নেই বেসরকারি স্কুলগুলো।

তবে, ছমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সুলতান আলী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো চলবে কিভাবে। আমরা টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। যতটুকু পারি ফেরত দিয়ে বোর্ডে তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৬
পিসি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।