ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষার্থী নির্যাতন বন্ধ

হাইকোর্টের নির্দেশনা যাবে ৬৪ হাজার স্কুলে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৬
হাইকোর্টের নির্দেশনা যাবে ৬৪ হাজার স্কুলে ফাইল ফটো

ঢাকা: শিক্ষার্থীদের নির্যাতন বন্ধে শতভাগ স্কুলেই মানা হবে হাইকোর্টের নির্দেশনা। ৬৪ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব কটিতেই প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নির্দেশনাগুলো টাঙানো থাকবে।

শুধু তাই নয়, নতুন শিক্ষক নিয়োগের সময় এসব মেনে চলার শপথ নেবেন তারা। এমন তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সচিবালয়ে তার কক্ষে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ব্লাস্ট অনারারি নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, সেভ দ্য চিলড্রেনের চাইল্ড প্রটেকশন পরিচালক লায়লা খন্দকার, অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার লায়লা করিম, ব্লাস্ট পরিচালক ও আইন উপদেষ্টা এস এম রেজাউল করিমের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশের ৬৪ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষার্থী যেন শারীরিক ও মানসিক কোনো ধরনের নির্যাতনের শিকার না হয়, সেজন্য হাইকোর্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্যাতন বন্ধ হয়েছে কিনা মূল্যায়ন করতে ফলো আপ করেছে গণস্বাক্ষরতা অভিযান, ব্লাস্ট ও সেভ দ্যা চিলড্রেন। তাদের ফলো আপ বিষয়ে এ বৈঠক করেছি আমরা। শতভাগ স্কুলকে অনুশাসনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।

‘প্রথমত কোর্টের নির্দেশনা মানা, দ্বিতীয়ত শিক্ষক ও অভিভাবকদের এসব অনুশাসন সম্পর্কে অবগত করার বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে লেমিনেটিং করা থাকবে এসব নির্দেশনা। যাতে সবাই প্রতিদিন দেখতে পান। নতুন শিক্ষক নিয়োগের সময় এসব নির্দেশনা তারা শপথের মতো আয়ত্ত করবেন। এছাড়া, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের সভায় এ সম্পর্কিত অগ্রগতি তদারকি নিয়ে আলোচনা হবে’- বলেন মন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, শারীরিক-মানসিক শাস্তি নয়, আমাদের লক্ষ্য শিশু যেন আনন্দে বেড়ে ওঠে। শিশু নির্যাতনবিরোধী প্রচলিত আইনের প্রয়োগ ঠিকভাবে হচ্ছে কিনা, সেটি দেখা হবে। কোয়ালিটি এডুকেশনের সঙ্গে সঠিক বিকাশে জোর দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে যারা দেশ চালাবে, তারা ভালো মতো বেড়ে উঠছে কিনা সেটি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। কোয়ালিটি এডুকেশনের সঙ্গে পরিবেশ দেখা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে ১৫-২০টি স্কুলের ওপর ফলো আপ করে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।

গণমাধ্যমে বিষয়গুলো নিয়ে প্রচার চালানোর আহবানও জানান মোস্তাফিজুর রহমান।

এ বিষয়ে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘আমরা জেনেছিলাম ৪০ শতাংশ স্কুলেই কোনো না কোনো রকম নির্যাতন চলছে। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আদালতের নির্দেশনা মানার বিষয়ে ফলো আপ করবো। কারণ অনেকেই এমন নির্দেশনা সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না। আমরা তাই মনিটরিংয়ের মাধ্যমে জানাতে চেয়েছি। কিছু অভিযোগ মানবাধিকার কমিশনে আসে। কিন্তু এগুলোর ব্যবস্থা স্কুলেই হওয়া উচিত। ’

আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, পত্রিকা থেকে ৩৫০টি রিপোর্ট, এছাড়া আরও ২৫টি রিপোর্টের অভিযোগের ভিত্তিতে ফলো আপ করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো শিশু যেন নির্যাতনের শিকার না হয়, সেজন্যই এ উদ্যোগ। আইন তো আমাদের আছেই। অনুশাসনগুলো পালন করা এখন মূলকাজ।

শিশুদের কোনো নির্যাতন করা যাবে না। স্কুলগুলোতে অনুশাসন মানা হচ্ছে কিনা, সেটি দেখা হচ্ছে এবং হবে বলে জানান লায়লা খন্দকার।

অতিথিরা বেশ ক’টি সুপারিশ নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে করেন। যা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৬/আপডেট: ১৫০৮
এসকেএস/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।