ঢাকা: দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান নিশ্চিত করতে গঠন করা হচ্ছে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল। এ লক্ষ্যে ‘অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৬’ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বিষয়টি জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটি নির্দিষ্ট মানে উন্নীত করতে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন করা হবে। এ কাউন্সিলে চেয়ারম্যানসহ ১১ জন সদস্য থাকবেন।
তিনি জানান, আইনের খসড়াটি নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার প্রত্যাশিত মান নিশ্চিত ও সরকারি-বেসরকারি উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশ্বমানে উন্নতি করার লক্ষ্যে। কোন বিশ্ববিদ্যালয়টি মানসম্মত আর কোনটি মানসম্মত নয় সেই কর্তৃত্ব দেওয়ার জন্যই অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল করার বিধান রাখা হয়েছে আইনের খসড়ায়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খসড়ায় বলা হয়েছে একটা কাউন্সিল হবে। কাউন্সিলে একজন চেয়ারম্যান, চারজন অধ্যাপক ও খণ্ডকালীন সদস্য থাকবেন ছয়জন। এছাড়া আরও বিভিন্ন সেক্টর থেকে সদস্য আসবেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন থেকে একজন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, অ্যাসোসিয়েশন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অথবা তার মনোনীত সদস্য থাকবেন। বিদেশি সদস্য থাকতে পারবেন, তবে তা কাউন্সিল মনোনীত হতে হবে। পেশাজীবী মনোনীত একজন প্রতিনিধি ও এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি হিসেবে শিল্প উদ্যোক্তাদের একজন সদস্য থাকবেন। এসব মিলেই গঠিত হবে কাউন্সিল।
সচিব জানান, কাউন্সিলের দায়িত্ব হবে উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা, সার্টিফিকেট দেওয়ার শর্তাবলী নির্ধারণ করা এবং প্রয়োজনে অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট বাতিল করা। তবে কারও সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে গেলে তিনি রিভিউয়ের আবেদন করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৬
এসএমএ/এএ