ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ভাতা

দ্বিগুণ হচ্ছে বাধ্যতামূলক চাঁদা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৬
দ্বিগুণ হচ্ছে বাধ্যতামূলক চাঁদা

ঢাকা: শিক্ষকদের অবসর ভাতা মেটাতে নতুন কৌশল নিচ্ছে সরকার। বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারীর বকেয়া অবসর ভাতা মেটাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক চাঁদা দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

অনেকটা কৈ মাছের তেলে কৈ ভাজার মতো চিন্তা-ভাবনা।

২০০২ সালের ডিসেম্বরে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য অবসর ভাতা চালু হয়। ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা আইন, ২০০২’-এর ৯ ধারায় অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিলে তিন ধরনের উৎস থেকে অর্থ জমা হওয়ার কথা। উৎস তিনটি হলো- সরকারের দেওয়া অর্থ, শিক্ষক ও কর্মচারীদের দেওয়া বাধ্যতামূলক চাঁদা এবং অন্য কোনো উৎস থেকে পাওয়া অর্থ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বোর্ডের আওতায় সারা দেশে ২৬ হাজার ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে রয়েছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৫২৫ জন শিক্ষক ও ১ লাখ ৫ হাজার ৬০৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।

সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবসর ভাতার জন্য আবেদন জমা পড়েছে ২০ হাজার। চার বছর আগে যেসব শিক্ষক-কর্মচারী অবসর ভাতার জন্য আবেদন করেছেন, তারা এখনো তা পাননি।

শিক্ষকদের বেতনের ৪ শতাংশ কেটে রাখার ফলে বোর্ডে প্রতি মাসে জমা হয় ১৬ কোটি টাকা। ওই তহবিল থেকে বোর্ড প্রতি মাসে কিছু আবেদনের নিষ্পত্তি করে। তবে সব আবেদন নিষ্পত্তি করে পেনশন দিতে মাসে দরকার ৬০ কোটি টাকা।

শিক্ষক-কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক চাঁদা ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন থেকে কেটে রাখা টাকা দ্বিগুণ করে তাদের অবসর ভাতা পরিশোধ করতে চায় সরকার।

সোমবার (১৬ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ভাতা সহজীকরণের বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আফছারুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, বিপুল সংখ্যক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর ভাতা বকেয়া রয়েছে। এসব আবেদনের নিষ্পত্তি করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক চাঁদা দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি মন্ত্রণালয় আগেই করেছে। সোমবার মন্ত্রী আমাদের বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘সরকারতো বেসরকারি শিক্ষকদের ইন্টারেস্ট (সুবিধা) দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাই বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের আবেদনের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমেও অবসর ভাতা মেটানোর চিন্তা-ভাবনা করছে। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ভালো একটা ‘অ্যামাউন্ট’ পাওয়ার খুব সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া প্রতি বছর বাজেটে ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে। এতে কিছুটা লাঘব হবে’।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৬
এসএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।