ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

অনুমোদনহীন স্কুল শনাক্ত করতে টাস্কফোর্স

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৬
অনুমোদনহীন স্কুল শনাক্ত করতে টাস্কফোর্স

ঢাকা: সারা দেশে অনুমোদনহীন কিন্ডার গার্টেনসহ নার্সারি স্কুল শনাক্ত করতে ‘টাস্কফোর্স কমিটি’ গঠন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
 
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এই কমিটি গঠন করা হয়।


 
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, অনুমোদনহীন স্কুলগুলোর ভিন্ন ভিন্ন পাঠ্যধারার পাশাপাশি অতিরিক্ত বইয়ের বোঝা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অভিভাবকদের খরচও বেশি পড়ছে খুদে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায়।
 
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, স্কুলগুলো শনাক্ত করে ২০১১ সালের বিধিমালা অনুসারে পরিচালনার উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
 
বিভাগীয় পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে কমিটি কাজ করবে।
 
মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, আশা করা হয়েছিল যে, জারিকৃত বিধিমালার আলোকে নার্সারি, প্রিপারেটরি বা কিন্ডার গার্টেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিবন্ধিত ও পরিচালিত হবে। কিন্তু বিধিমালা উপেক্ষা করে বেসরকারি উদ্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে এবং নিয়ম বহির্ভুতভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
 
এতে আরও বলা হয়, লক্ষ্য করা যায় এসব বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সুবিধা, ছাত্রছাত্রী ভর্তি, ভর্তি ফি নির্ধারণ, প্রযুক্তি ব্যবহার এবং পাঠ্যবই অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। অন্যদিকে পাঠ্য বইয়ের আধিক্যে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর মানসিক চাপ বাড়ছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে।
 
টাস্কফোর্স কমিটিগুলোকে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেনসহ সব ধরনের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমতি বা নিবন্ধন সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা ও বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা নিরূপণ করতে বলা হয়েছে।
 
এছাড়া বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম, শিক্ষার্থী ভির্তি ফি, ফি নির্ধারণ ও আদায়, ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত, অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়াও প্রাসঙ্গিক অন্য তথ্যও পরীক্ষা করবে এসব টাস্কফোর্স।
 
এর বাইরে টাস্কফোর্স কমিটিগুলোকে বিদ্যালয়ের পাঠদান, সহ-শিক্ষাক্রম, আর্থিক কর্মকাণ্ড, শ্রেণিভিত্তিক পাঠ্যপুস্তক অন্তর্ভুক্তি যাচাই করতে বলা হয়েছে।
 
বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের টাস্কফোর্সগুলোকে আগামী এক মাসের মধ্যে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।
 
আদেশে বলা হয়েছে, বিভাগীয় টাস্কফোর্স প্রয়োজনে জেলা বা উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটিকে নির্দেশনা ও পরামর্শ দিতে পারবে। অনুরূপভাবে জেলা টাস্কফোর্সও উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটিকে নির্দেশনা ও পরামর্শ দেবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৬
এমঅাইএইচ/এসএনএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।