ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শেকৃবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বাহাস, কক্ষে তালা

শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৬
শেকৃবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বাহাস, কক্ষে তালা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) অ্যাগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট (এবিএম) অনুষদে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। এর জের ধরে অনুষদের শিক্ষার্থীরা ডিন অফিস সহ সব শিক্ষকের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।

সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল অনুষদ ভবনে বাকবিতণ্ডার পর কক্ষগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। প্রশাসন কর্তৃক ঘোষিত নতুন ডিগ্রি পাশ করা শিক্ষার্থীদের দেওয়ার দাবি নিয়ে বিতণ্ডা হয়েছে বলে অনুষদ সূত্রে জানা গেছে।

সূত্রটি জানায়, ৬৫তম বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিলে ডিগ্রির নাম পরিবর্তন হওয়ার পরও সভার পরিপত্রে অসঙ্গতির অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ের সুষ্ঠ সমাধানের জন্য উক্ত অনুষদের কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে যান শিক্ষার্থীরা। কথা বলার এ পর্যায়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে অনুষদের শিক্ষক রাজীব কামাল দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শিক্ষার্থীদের।  

তবে তিনি শিক্ষার্থীদের এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের সঙ্গে অভদ্র আচরণ করছিল। ফোন পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সহকারী প্রক্টর রুহুল আমিন ৬ জন শিক্ষক নিয়ে ঘটনাস্থলে যান।  

শিক্ষার্থীদের দাবি, ওই ৬ জন শিক্ষক প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য নন। তাছাড়া ওই ৬ শিক্ষকই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন।

অভিযোগ উঠেছে, অ্যানিম্যাল সায়েন্স ও ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের শিক্ষক মোহাব্বত আলী শিক্ষার্থীদের ভাঙচুর করার উস্কানি দিয়েছেন।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাব্বত আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীরা শান্ত করতে গেলে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। এক পর্যায়ে তারা আমাকে ও কিছু সিনিয়র শিক্ষককে রুমে আটকে তালা দিতে উদ্যত হয়। এসময় আমি ক্ষোভে নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে বলেছি, ভাঙচুর করো। দেখি তোমাদের কেমন সাহস।   

বাকবিতণ্ডা সম্পর্কে জানতে চাইলে অনুষদের ডিন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে, প্রক্টর মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সমস্যা সমাধানে আমরা আলোচনায় বসেছি। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শিক্ষকের উস্কানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু শুনিনি।  

প্রশাসন সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ ৪ মাসের তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ২৪ আগস্ট ৬৫তম বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক ডিগ্রির নাম পরিবর্তন করে প্রশাসন। উক্ত একাডেমিক কাউন্সিলে ডিগ্রির নাম ‘বিবিএ ইন অ্যাগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট’ পরিবর্তন করে ‘বিএসসি ইন অ্যাগ্রিকালচারাল ইকোনমিক্স’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  

কিন্তু সভার পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, যারা স্নাতক শ্রেণিতে অধ্যয়নরত, কেবল তারাই ঘোষিত নতুন ডিগ্রি পাবেন। যাদের স্নাতক শেষ, তারা পূর্বের ডিগ্রি অর্থ্যাৎ ‘বিবিএ ইন অ্যাগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট’ পাবেন।  

শিক্ষার্থীরা সভার এ সিদ্ধান্তকে অসঙ্গতিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে পাশকৃত ও অধ্যয়নরত সবাইকে ঘোষিত নতুন ডিগ্রি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৬
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।