ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ফেসবুক বন্ধ নয়, প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে সতর্ক করে চিঠি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৬
ফেসবুক বন্ধ নয়, প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে সতর্ক করে চিঠি

ঢাকা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার সময় ফেসবুক বন্ধ করছে না সরকার। তবে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এড়ানো বা গুজব ঠেকাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


 
একইসঙ্গে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে)-দেরকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  
 
নকলমুক্ত, সুশৃঙ্খল ও সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বুধবার (২৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় কর্মকর্তারা ফেসবুক বন্ধের পরামর্শ দেন।  
 
সভায় উপস্থিত একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, যখন প্রশ্ন বা ভুয়া প্রশ্ন ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায় তখন বন্ধ করে দেওয়াই ভালো। অনেকেই ফেসবুকে প্রশ্ন সরবরাহের জন্য মোবাইল নম্বর দেয়।  
 
এ প্রসঙ্গ টেনে শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, আপাতত ফেসবুক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। ফেসবুক বন্ধ না করে কীভাবে গুজব বা ফাঁস ঠেকানো যায় তার উদ্যোগ নিতে হবে।  
 
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ বলেন, আমাদের এ ম্যাজেস দিতে হবে যে, যারা ফেসবুকে প্রচারণা চালায় তাদের ধরার সক্ষমতা রয়েছে।  
 
ওই সভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভুয়া প্রশ্ন পাঁচ হাজার থেকে তিন লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। তবে এবার এ ধরনের কাজ করতে পারবে না বলে জানান নাহিদ।  
 
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বালানিউজকে বলেন, অনলাইন মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে সব আইআইজিতে কর্মরত সার্ভার প্রোভাইডারকে সতর্ক থাকতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।  
 
এছাড়া ফেসবুকের মাধ্যমে ভুয়া প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে স্বার্থান্বেষী মহল যাতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়াতে না পারে সে ব্যাপারে নজরদারি রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।  
 
বিটিআরসি’র একজন কর্মকর্তা বলেন, কোনো আইডি থেকে প্রশ্ন ফাঁস করলে বা গুজব ছড়ালে সঙ্গে সঙ্গে তা চিহ্নিত করে ধরার ব্যবস্থা করা হবে। এক্ষেত্রে বিটিআরসি থেকে সহযোগিতা দেওয়া হবে।  
 
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানো বা ফেসবুকে প্রশ্ন সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এর ৫৭ ধারা এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৪ ধারায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
 
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড, ঢাকা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্টদের চিঠ দেওয়া হয়েছে।  
 
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে ২০ সদস্যের জাতীয় কমিটি এবং ঢাকা মহানগরীর জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।