রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. জালালউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষকরা এখনও অবরুদ্ধ আছেন। আগামীকাল ১২টায় জরুরি সভা
ডেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে শিক্ষার্থীদের জানানো হলেও তারা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেনি।
রুয়েট সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হওয়ার পর একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। এরপর সিরিঞ্জ ব্যবহার করে নিজেদের শরীর থেকে রক্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের প্রবেশ পথে ঢেলে সেখানে অবস্থান নেয়। পরে দুপুর ২টার দিকে প্রশাসন ভবনের দ্বিতীয় তলার বারান্দায় উপাচার্যের কক্ষের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ ২২ জন শিক্ষক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
এর আগে এ বিষয়ে শনিবার বিকেলে জরুরি একাডেমিক সভা ডাকে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেখানে ৩৩ ক্রেডিট বাতিলের সিদ্ধান্ত দেয়নি একাডেমিক কাউন্সিল।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ২৮ জানুয়ারি থেকে আমরা আন্দোলন করে আসছি। আমাদের আন্দোলন দমাতে একটি হলের শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও আমরা দাবি আদায়ে আন্দোলনে নেমেছি। বিক্ষোভ মিছিল, রক্ত ঢালাসহ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি। বর্তমানে উপাচার্যের কক্ষের সামনে অবস্থান করছি। আমাদের দাবির পক্ষে ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আমরা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করবো না।
রুয়েট সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হবার ক্ষেত্রে দুই সেমিস্টারে বাধ্যতামূলক ৪০ ক্রেডিটের মধ্যে ন্যূনতম ৩৩ ক্রেডিট অর্জন করতে হয়। অন্যথায়, তাকে পুনরায় সেই বর্ষেই থাকতে হবে। এর আগে নিয়ম ছিল, কোনও শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য বা অনুপস্থিতির কারণে ন্যূনতম ক্রেডিট অর্জন না করলেও পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারতো। সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে তাকে পরীক্ষা দিয়ে ওই ক্রেডিট অর্জন করতে হতো। তবে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ নিয়ম পরিবর্তন আনা হয়।
এ বিষয়ে রাতে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম বেগ ফোন রিসিভ করেন নি। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘একাডেমিক কাউন্সিল ৩৩ ক্রেডিট বাতিলের সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই আমরা ৩৩ ক্রেডিট বাতিল করছি না। ’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা তাদেরকে বারবার আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের কোনও কথা না শুনে আমার কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৩ ঘন্টা, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
আরআই