ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চতর মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘টমাস ট্রান্সট্রমার: সুইডিশ ভাষার কবিতায় আন্তর্জাতিক কণ্ঠস্বর’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে।
এতে ঢাকায় নিযুক্ত সুইডিশ রাষ্ট্রদূত ইউহান ফ্রিসেল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় অংশ নেন কবি অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ ও সুইডিশ কবি ক্রিস্টিয়ান কার্লসন। সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়।
আনিসুর রহমান বলেন, আমাকে যদি এক কথায় ট্রান্সট্রমারকে বাঙালি পাঠকের কাছে তুলে ধরতে বলা হয় তাহলে আমি বলবো তিনি হচ্ছেন সুইডেনের শামসুর রাহমান। শামসুর রাহমান তার কবিতায় একইসঙ্গে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সুর তুলতে পেরেছিলেন। ট্রান্সট্রমারের কবিতায়ও এ কথাটি প্রযোজ্য। তারা উভয়েই তাদের কবিতায় প্রকৃতি, পুরাণ, ইতিহাস, সংগীত, ভূগোলসহ নানা উৎস থেকে উপাদান সংগ্রহ করেছেন। কবি হিসেবে তারা ছিলেন সমসাময়িক।
ইউহান ফ্রিসেল বলেন, ট্রান্সট্রমার জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার ভেতরের কবিকে লালন করেছেন। তার স্মৃতিকথার ভেতর দিয়ে এ সত্য উপলব্ধি করা যায়। তিনি তার কর্ম দিয়ে ভালো খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। পরবর্তীতে নোবেল পুরস্কার জয় করেন। এসময় একটি চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে বাংলাদেশে আসতে চাওয়ার কথা জানান তিনি।
ক্রিস্টিয়ান কার্লসন বলেন, মানুষের কাছে তার সাহিত্যের আবেদন কখনো শেষ হবে না। তার সমৃদ্ধ লেখনীর জন্য তিনি প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের সর্বত্র সুখ্যাতি লাভ করেছেন। বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ তাকে সব ধরনের মানুষের কাছে নিয়ে গেছে।
এসময় তিনি ট্রান্সট্রমারের কবিতা ও আবৃত্তির পাশাপাশি ইংরেজি অনুবাদ পাঠ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৭
এসকেবি/এএ