সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জবি উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ক্যাম্পাসে প্রতিটি ছাত্রসংগঠনকে ডাকা হয়।
আলোচনায় শাখা ছাত্রলীগ, ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ইউনিয়ন, জাসদ ছাত্রলীগ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট দুই অংশের প্রতিনিধি হিসেবে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নেন।
জবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আল সরদার অভিযোগ করেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনের খাবার আশপাশের রেস্টুরেন্টের চেয়েও বেশি দামে বিক্রি করা হয়। ক্যান্টিনে ভাঙা চালের খিচুড়ি ও মানহীন তেহারি পরিবেশন করা হয়। যা আশেপাশের দোকানগুলোর চেয়ে নিম্নমানের ও দামে অনেক বেশি।
এমন অভিযোগের বিষয়ে জবি উপাচার্য ক্যান্টিন পরিচালক আমজাদ হোসেনের কাছে জানতে চান।
আমজাদ হোসেন জানান, ক্যান্টিনে প্রতিদিন অনেকেই বিল না দিয়ে খান। এতে তাদের ক্ষতি হয়। উপাচার্য এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে জবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, আমরা ছাত্রদের ও ক্যান্টিনের মালিকপক্ষের অভিযোগ শুনেছি। তবে দুপক্ষের অভিযোগে অসঙ্গতি আছে।
জবি উপাচার্য বৈঠক শেষে বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া, ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, প্রক্টর ড. নূরে মোহাম্মদ, সহকারী প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালকে দায়িত্ব দিয়েছি। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ক্যান্টিনে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭
ডিআর/আরআর/ পিসি