এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ৩০ জানুয়ারি সিন্ডিকেটে ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪২তম ব্যাচের ছাত্র ও আ ফ ম কামাল উদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক এস এম শরীফ আহমেদ, গণিত বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী নাজমুল হুদাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কার থাকাকালীন তারা কোনো ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। তারা এই সময়ে হলেও অবস্থান করতে পারবেন না। এ বিষয়ে হল প্রশাসন, বিভাগ ও পরীক্ষা অফিসকে সজাগ থাকার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু হাসিন ওয়াহিদুল তুষার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাড়ে ৪ লাখ টাকার চুক্তি করেন। পরে পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়ে ভর্তি হতে আসলে বিভাগীয় শিক্ষকরা তাকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে প্রক্টরের হাতে তুলে দেন। পরে তুষার তার চুক্তির কথা জানালে দুই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এছাড়া পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার জন্য নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের মো. জাহিদুল ইসলামের ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
এনএ/আরআর/আরআই