শুক্রবার (৩ মার্চ) দুপুরে ওই ছাত্রীকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জাহানারা খাতুন (১৫) নামে ওই শিক্ষার্থী বেথুলিয়া গ্রামের ভ্যানচালক আক্কাছ খানের মেয়ে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহানারা বাংলানিউজকে জানায়, শিক্ষক ওহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে অংক ক্লাসে তাকে একটি অংক করতে দেন। অংকটি করতে না পারায় শিক্ষক ওহিদুল ক্ষিপ্ত হয়ে ডাস্টার দিয়ে জাহানারার বাম হাতে সজোরে আঘাত করেন। আঘাতে ডাস্টারটি ভেঙে যায়।
প্রচণ্ড ব্যথায় কাতরাতে থাকলে স্কুলের শিক্ষকরা জাহানারার বাড়িতে খবর না দিয়ে তাকে স্কুলে দু’ঘণ্টা বিশ্রামে রাখেন। পরে সহপাঠীরা তার বাড়িতে বিষয়টি জানালে পরিবারের লোকজন তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।
জাহানারার বাবা আক্কাছ খান বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে বিকেলে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় স্কুল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসি। পরে ব্যথার যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকলে রাতে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক্স-রে করে রিপোর্ট অর্থোপেডিকস ডাক্তারকে দেখানোর পরামর্শ দেন। এরপর রাতেই তাকে আবার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে মেয়ে আবার ব্যথায় ছটফট করতে থাকে। পরে দুপুর বেলায় তাকে আবার সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জহুরা বাংলানিউজকে বলেন, জাহানারার বাম হাতের উপরের জয়েন্ট একটু সরে গেছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বেথুলিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর মো. শাহজাহান বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমার বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মীর আব্দুল কাদেরকে জানিয়েছি। তিনি জেলার বাইরে আছেন। তিনি ফিরলেই এ বিষয়ে মিটিং করা হবে।
অভিযুক্ত শিক্ষক ওহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মেয়ে ফোন রিসিভ করে জানান, ওহিদুল ইসলাম বাসায় নেই। এরপর থেকে ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৭
আরআইএস/এমজেএফ