শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল তৈরি হলে তা হবে যুগান্তকারী পদক্ষেপ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ এর সহায়ক। দেশকে উন্নত দেশের কাতারে উন্নীত করতেই এই উদ্যোগ।
‘মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল প্রণয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে এই উদ্যোগ নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত এক যাচাই বাছাই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমান বাংলানিউজকে জানান, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল তৈরির নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। আগামী জুলাই থেকে অনলাইনে তথ্য সংগ্রহ করে প্রোফাইল প্রণয়নের কাজ শুরু হতে পারে বলে তিনি জানান।
শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল তৈরির জন্য বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য-সহায়তায় প্রোফাইল তৈরি করা হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্যানবেইস পরিচালক মো. ফসিউল্লাহ।
ফসিউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, অনলাইনে তথ্য সংগ্রহ করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ইউনিক আইডি দেয়া হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইউনিক আইডির মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর তথ্য উঠে আসবে। ওই আইডি দিয়ে তাকে সহজেই শনাক্ত করা যাবে। আর ১৮ বছর বয়স হলে এই তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্র তথ্য ভান্ডারের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। ফলে তার জাতীয় পরিচয় নম্বর পাওয়া সহজ হবে।
তিনি বলেন, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সঠিক তথ্য থাকলে ভবিষ্যতে তারা যখন উচ্চ শিক্ষায় যাবে তখনও তাদের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা সরকারের জন্য সহজ হবে। এছাড়া বয়স পরিবর্তনের যে ঝামেলা সেটা থেকেও মুক্ত থাকা যাবে।
“আমরা উন্নত দেশের কাতারে যেতে চাচ্ছি, এই পদক্ষেপ হবে যুগান্তকারী। শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল তৈরি হলে সেটাই হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ। ”
প্রথমে স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল তৈরির কথা থাকলেও মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের শিক্ষার্থীদেরও যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য মন্ত্রিসভা থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
এমআইএইচ/জিপি/আরআই