রোববার (১৬ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে।
হল থেকে বের করে দেওয়া শিক্ষার্থী হলেন- অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র সোহাইল আহমেদ শুভ।
ভোক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, শুভকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের মিছিলে দেখার ফলে নজরে রাখে আল-আমিনের কর্মীরা। ঘটনার তিনদিন আগে হলের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী শান্ত ( চারুকলায় ভাঙচুরে নেতৃত্বদানকারী) তাকে জিজ্ঞাসা করে ছাত্র ফ্রন্ট করে কি না? পরে শুভকে শান্ত রাতে হলের অতিথি কক্ষে দেখা করতে বলে। পরবর্তীতে দেখা করতে গেলে শান্ত তাকে রড দিয়ে ভয় দেখায়। এসময় ছাত্রলীগের অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা রাতের মধ্যে হল ত্যাগ করতে বলে। ফলে সে হল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
ঘটনার বিষয়ে শুভ বাংলানিউজকে বলেন, আমি ছাত্র ফ্রন্ট করার কারণে আমাকে হল থেকে তারা বের করে দিয়েছে।
ছাত্রফ্রন্ট করার কারণে বের করে দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন রহমান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। জুনিয়ররা বের করে দিয়েছে। বেয়াদাবি করার কারণে তাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আল-আমিন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের অনুসারী।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন প্রিন্স বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রলীগ এর আগেও বিভিন্ন হল থেকে বৈধ ছাত্রদের বের করে দিয়েছে। ভিন্ন মতের শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া কোনো ধরনের গণতান্ত্রিক আচরণ হতে পারে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এর প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনকে ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
এসকেবি/বিএস