ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

আইসিটি শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে হবে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৭
আইসিটি শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে হবে বক্তব্য রাখছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া

রাজবাড়ী: জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের সরকার দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ পর্যন্ত অনেক আইসিটি বিষয়ক শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে তারা বেতন পান না। সরকারের কাছে আমার অনুরোধ, শিক্ষামন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, সারাদেশের আইসিটি শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হোক। এমপিওভুক্তির মাধ্যমে তাদের বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করা হোক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় চেয়েছেন আইসিটির মাধ্যমে আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। সেই লক্ষ্যে আমরা এগিয়েছি।

২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দেন, তখন খালেদা জিয়া তাচ্ছিল্য করে বলেছিলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ আবার কী? কিন্তু, সেই খালেদা জিয়াই এখন বলছেন বাংলাদেশ ডিজিটালে রূপান্তরিত হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, যোগ করেন ডেপুটি স্পিকার।  

সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ‘শিক্ষা বাজেট’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চ্যানেল আই ও গণস্বাক্ষরতা অভিযান যৌথভাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে।

এসময় ডেপুটি স্পিকার বলেন, আমাদের সৌভাগ্য যে শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে তিনি দেশটাকে উন্নত করে চলেছেন। শিক্ষাসহ প্রতিটি বাজেট দ্বিগুণ করেছেন। ২০২১ সালে মধ্যে আমাদের দেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হবে। এতে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে সবাইকে সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যদি ক্লাসে ঠিকমতো পড়ান তাহলে কোনো শিক্ষার্থীকে কোচিংয়ে যেতে হবে না। আপনারা ক্লাসে ঠিকমতো পড়াবেন না, অথচ বেতন চাইবেন দ্বিগুণ; এটা আমরা মেনে নেবো না। আপনারা ক্লাসে ততোক্ষণ পর্যন্ত পড়াতে থাকবেন, যতোক্ষণ পর্যন্ত ক্লাসের শেষ শিক্ষার্থীটি আপনাদের বক্তব্য উপলব্ধি করতে না পারে। আমরা এভাবেই পড়েছি। আমাদের প্রাইভেট শিক্ষক ছিল না, নোটবুক ছিল না, গাইড বুক ছিল না। আমরা কিন্তু লেখাপড়া করে আজ এই অবস্থানে এসেছি।

অনুষ্ঠানে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, তার স্ত্রী রেবেকা সুলতানা, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক জিনাত আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মানোয়ার হোসেন মোল্লা, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. খলিলুর রহমান, রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এম এ খালেক, রাজবাড়ী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরীসহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।  

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ।  

অনুষ্ঠানে উপবৃত্তি, চাকরি জাতীয়করণ, মিড ডে মিল, শিক্ষক ও শ্রেণীকক্ষ সংকট, পাঠ্যবই সংকট ও বিজ্ঞানাগারের অভাবসহ নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।  

আসছে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রেখে এসব সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৭
এসআই 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।