এ নিয়োগ নিয়ে বিভাগীয় শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবিতে শিক্ষকরা দুই দফায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন।
ওই বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভাগটিতে বর্তমানে ১৯ জন শিক্ষক রয়েছে। বিভাগের একাডেমিক সভায় কোর্স বন্টনের ক্ষেত্রে সিনিয়র শিক্ষকরা কোর্স না ছাড়লে জুনিয়র শিক্ষকরা কোর্স নেওয়ার সুযোগ পায় না। চাহিদা না থাকা সত্ত্বে গত ১২ মার্চ বিভাগীয় সভাপতি কারো সঙ্গে কথা না বলে এবং কোনো ধরনের সভা ছাড়াই স্থায়ী সহযোগী অধ্যাপক পদে একজন, স্থায়ী প্রভাষক পদে দুইজন এবং অস্থায়ী প্রভাষক পদে তিনজনকে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিভাগে জরুরি একাডেমিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় (বর্তমান সভাপতি দেশের বাইরে থাকায়) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ৯ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে দুপুরে তারা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করার অনুরোধ জানান।
বিভাগের একজন সিনিয়র শিক্ষক বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান সভাপতি পূর্বে দুই দফায় দুইজন করে মোট চারজন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। দুই মাস পরই তাদের মেয়াদ শেষ হবে। এ দুই মাসে তিনি জোর করে আরো ছয়জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ ছয়জনকে নিয়োগ দিলে গত তিনবছরে ১০জন শিক্ষক নিয়োগ দিবেন তিনি। যা পুরাতন এ বিভাগটির ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক। বিভাগটির প্রভাবশালী এক শিক্ষকের মেয়ে এবং এক শিক্ষককের স্ত্রীকে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান।
বিভাগের অধ্যাপক মো. এমদাদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য আমরা ১৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছে।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে উপাচার্য ভালো বলতে পারবেন। আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। আমি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি নই।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
আরআইএস/