জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে ক্যান্টিনে খাবারের দাম কমানো, মান বাড়ানো, ক্যান্টিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তুকি বাড়ানোসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবিতে মাঠে নামে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ক্যান্টিন সঙ্কট নিরসনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক সেলিম ভূইয়াকে প্রধান করে ৪ সদস্যের কমিটি করা হয়।
এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যান্টিন সমস্যা সমাধানের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রনেতারা।
এ বিষয়ে জবি শাখা ছাত্র ফন্টের সভাপতি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রায় দেড় মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনের খাবারের তালিকা দিয়েছি।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে ক্যান্টিন পরিচালক আমজাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ভিসি স্যার ছাত্রদের নিয়ে মিটিং করার পর আর কোনো মিটিং হয়নি। ছাত্রকল্যাণ পরিচালক শফিক স্যার তার অফিসে একদিন ডেকেছিলেন। তিনি আমাকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্টিনের খাবারের দামের তালিকা দিতে বলেন। আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির খাবারের তালিকা সংগ্রহ করে তা জমা দিয়েছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক সেলিম ভূইয়া কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জবি ছাত্র কল্যাণের পরিচালক সফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবেদন তৈরিতে আমাদের কাজ চলছে। ট্রেজারার স্যারকে প্রধান করে আরও ৪ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
তবে প্রতিবেদন জমা দিতে কতদিন সময় লাগবে তা জানাতে পারেননি ছাত্রকল্যাণ পরিচালক।
জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনের খাবারের তালিকাসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য বলা হয়েছে। এটার কাজ চলছে। তবে এখনও আমি প্রতিবেদন হাতে পাইনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
ডিআর/আরআর/বিএস