এ বছর এ বোর্ডে ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৯০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার্থীয় অংশ নেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬২ জন পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (০৪ মে) দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, এবার দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে মোট ৬ হাজার ৯২৯ জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৯৩৪ জন ছাত্র এবং ২ হাজার ৯৯৫ জন ছাত্রী। দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে জিপিএ-৫ এ দিকে ছাত্ররা এগিয়ে।
এবার দিনাজপুরে বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগে ৬ হাজার ৮০৭ জন, মানবিক বিভাগে ৫৯ জন এবং বাণিজ্য বিভাগে ৬৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের আট জেলার মধ্যে জিপিএ-৫ বেশি রংপুর জেলায়। রংপুর জেলায় পাসের হার ৮৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এ জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ১৭০ জন।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিনাজপুর জেলা, এ জেলায় পাসের হার ৭৯ দশমিক ৭৫। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৯৯জন।
নীলফামারী জেলায় পাসের হার ৮৭ দশমিক ৯৫। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৫০ জন। ঠাকুরগাও জেলায় পাসের হার ৮৩ দশমিক ২৮। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৩৮ জন। লালমনিরহাট জেলায় পাসের হার ৯১ দশমিক ৬৯। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯৯ জন। গাইবান্ধা জেলায় পাসের হার ৮৫ দশমিক ৭৬। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৩০ জন। কুড়িগ্রাম জেলায় পাসের হার ৮৩ দশমিক ৩৫। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬৬ জন। পঞ্চগড় জেলায় পাসের হার ৮০ দশমিক ৬৭। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪২২ জন।
শিক্ষাবোর্ডের ২ হাজার ৬০৬ টি স্কুলের মধ্যে ১৬৬টি স্কুল শতভাগ পাস দেখিয়েছে। এছাড়া একটি স্কুলে (পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ী আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) একজন পরীক্ষার্থী ছিলো, সে পাস করেনি।
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিলো ৮৯ দশমিক ৫৯। গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার কমেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
ওএইচ/বিএস