রোববার (০৭ মে) সকাল ১০টায় আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রায়ে ভর্তি হওয়া ১০০ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বে গঠিত সাত সদস্যের একটি বেঞ্চ।
রায়ে প্রথম ভর্তি হওয়া গণিত এবং পরিসংখ্যান বিভাগের ১০০ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আগামী সাতদিনের মধ্যে ভর্তি হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভুক্ত ‘এফ’ ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ৬ মার্চ তাদের ভর্তি বাতিল করে। পরে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই ইউনিটের ৮৮ জন শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট করে। ১৩ মার্চ হাইকোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল করে রুল জারি করে এবং পুনারায় ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশ দেন।
এদিকে, ১৬ মার্চ হাইকোর্টের নির্দেশে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরবর্তীতে হাইকোর্টের জারিকৃত রুলের কয়েক দফা শুনানি শেষে ১৭ মার্চ ১০০ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হাইকের্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। প্রশাসনের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের একটি বেঞ্চ এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৭
এনটি