কলেজ ভর্তির সরকারি ওয়েবসাইট (www.xiclassadmission.gov.bd) থেকে জানানো হয়েছে, ভর্তির আবেদন গ্রহণ শুরু হবে বেলা ২টায়।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ভর্তি কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।
বিগত কয়েক বছরের মত এবারও এসএসসির ফলের ভিত্তিতেই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য গত ৭ মে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অনলাইন ও টেলিটক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এসএমএসে ভর্তির আবেদন করা যাবে ২৬ মে পর্যন্ত। যারা ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন তাদেরও এ সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
প্রথম পর্যায়ে ভর্তির জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ৫ জুন। ভর্তি শুরু হবে ২০ জুন, ১ জুলাই থেকে শুরু হবে ক্লাস।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, এবারও ভর্তিতে শিক্ষার্থীরা পছন্দের ১০টি কলেজের নাম দিতে পারবেন। তবে একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
অনলাইনে ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করা যাবে।
এসএমএসের মাধ্যমে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রতি কলেজের জন্য ১২০ টাকা ফি দিতে হবে। এক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পছন্দক্রমে রাখতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
আগে পছন্দক্রমে যতগুলো কলেজের নাম দেওয়া হত সবগুলোতেই শিক্ষার্থীর অবস্থানসহ তালিকা প্রকাশ করা হত। এসব কলেজে ভর্তি নিশ্চয়নের ক্ষেত্রে অনেক টাকা খরচ হত শিক্ষার্থীদের। এবার শিক্ষা বোর্ড শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চয়ন করার সময় ১৮৫ টাকা করে ফি নেবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ভর্তি ২০ জুন শুরু হয়ে শেষ হবে ২২ জুন। ঈদের ছুটির পর ২৮ ও ২৯ জুন ভর্তি করা হবে। শুধুমাত্র পুনঃনিরীক্ষণে ফলাফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের ৩০-৩১ মে আবেদন গ্রহণ করা হবে। শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করা হবে ৬-৮ জুন পর্যন্ত।
প্রথম পর্যায়ের নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্র্রকাশ করা হবে ৫ জুন। দ্বিতীয় পর্যায়ে ফল প্রকাশ করা হবে ১৩ জুন এবং তৃতীয় পর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হবে ১৮ জুন।
এছাড়া ১৩ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন ও তৃতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সিলেকশন নিশ্চয়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ জুন।
গত ৪ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়, যাতে গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩০ শতাংশ। আট বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে পাসের হার ৮১ দশমিক ২১ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিলে পাসের হার ৭৬ দশমিক ২০ ও কারিগরি বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
এবার ১৭ লাখ ৮১ হাজার ৯৬২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন।
নীতিমালা অনুযায়ী, মাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ছাড়াও ২০১৫ ও ২০১৬ সালের পরীক্ষায় এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবেন।
মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেশন চার্জসহ সর্বসাকুল্যে এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকার বেশি ফি নেওয়া যাবে না।
ঢাকা মহানগর এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে পাঁচ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না। ঢাকা মহানগর এলাকায় আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও এমপিও বহির্ভুত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য ভর্তির সময় মাসিক বেতন, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফি বাবদ বাংলা মাধ্যমে নয় হাজার এবং ইংরেজি মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান তিন হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না।
দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ফি যতদূর সম্ভব মওকুফ করতে বলেছে সরকার।
ভর্তি নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে অনুমোদিত ফি’র বেশি নিলে বেসরকারি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পাঠদানের অনুমতি বাতিলসহ এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৭
এমআইএইচ/এসএইচ