শনিবার (১৩ মে) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ড. এম ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের দ্বিতীয় তলায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এসময় নাক ও বাম চোখের নিচ থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হলে সোহানের অন্য সহপাঠীরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
এদিকে, আহত সোহান ঘটনার বিচার ও তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন বলেও জানা গেছে।
বিভাগীয় শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, রাসেলসহ তার কয়েক বন্ধু পরীক্ষার হলে প্রায়ই নকল করেন। রাসেল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী হওয়ায় বিভিন্নভাবে পার পেয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে কে বা কারা রাসেলের নকল করার একটি ভিডিও ধারণ করে বিভাগীয় সভাপতির কাছে দেয়। এ ঘটনার পরে বিভাগীয় সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন অভিযুক্ত রাসেলকে নকল না করার জন্য সতর্ক করে দেন।
পরে রাসেল তারই সহপাঠী সোহান ওই ভিডিও ধারণ করে বিভাগীয় সভাপতিকে দিয়েছে এমন ধারণা থেকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয়।
এর জের ধরে দুপুরে সোহান ল্যাব থেকে বের হলে রাসেলসহ আরো তিনজন তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
আহত সোহান বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি ল্যাব থেকে বের হতেই রাসেলসহ আরো তিনজন আমার ওপর হামলা করে। রাসেলের নকল করার একটি ভিডিও কে বা কারা চেয়ারম্যান স্যারকে দিলে রাসেল আমার ওপর ক্ষেপে যায়। আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছিল। আজ হঠাৎ আমার ওপর এভাবে হামলা করলো। ’
সোহান বলেন, ‘আমি আর দুই এক মাস ক্যাম্পাসে আছি। আমার এমএসসি ল্যাব পরীক্ষা চলছে। এ সময়ে এভাবে আমাকে লাঞ্ছিত করলো। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। ’
অভিযুক্ত রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমি কাউকে মারধর করিনি। ’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘আমি ঘটনা শুনেই সেখানে গিয়েছিলাম। আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছি। ’ এছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
আরবি/এসএইচ