তারপরও ২৬ হাজার বইয়ে সমৃদ্ধ এ লাইব্রেরিতে প্রতিদিনের গড় পাঠক সংখ্যা ২০০ থেকে ২৫০ জন বলে জানান সহকারী লাইব্রেরিয়ান সুনীলময় চাকমা।
সরেজমিনে গেলে তিনি বলেন, শহরের মূল সড়কে না পাওয়ায় এখানে জায়গা কিনে গণগ্রন্থাগারটি তৈরি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা গল্প, উপন্যাস ও কবিতার বই, ম্যাগাজিন, লিটল ম্যাগাজিন পড়লেও হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের পাঠক বেশি। আর বয়োজ্যেষ্ঠরা বিভিন্ন ধরনের পত্রিকা, ইতিহাস ভিত্তিক এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গন নিয়ে লেখা বইগুলো বেশি পড়েন।
এখানে ৫০ জনের বেশি পাঠক একসঙ্গে বসে পড়তে পারেন। নারীদের জন্য আলাদা পাঠের স্থান গড়ে তুলতে না পারলেও আলাদা টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান সুনীলময় চাকমা।
তবে লাইব্রেরিয়ান পদটি শূন্য রয়েছে। একজন সহকারী লাইব্রেরিয়ান, একজন লাইব্রেরি সহকারী, একজন বুক সর্টার, একজন এমএলএস এবং একজন অনিয়মিত শ্রমিক দিয়ে এ লাইব্রেরির কার্যক্রম চলছে।
সুনীলময় চাকমা বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে সারাদেশের মতোই আমাদের লাইব্রেরিতে প্রতি বছর বই পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পাঠকদের চাহিদা অনুসারে কিছু বই পাঠাতে আমরাও কেন্দ্রে চিঠি পাঠাই’।
লাইব্রেরিতে ১১টি দৈনিক পত্রিকা ও বেশ কয়েকটি সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক ও চাকরির পত্রিকা রাখা হয়। এসব পত্রিকা রাখায় পাঠক সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে বলেও দাবি সহকারী লাইব্রেরিয়ানের।
লাইব্রেরিতে নির্দেশিকা ফরম পূরণ ও জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দিয়ে বিনামূল্যে বিটিসিএলের ইন্টারনেট ও উন্মুক্ত ওয়াইফাই ব্যবহারের সুবিধা পান শিক্ষার্থীরা।
সুনীলময় চাকমা বলেন, ‘ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ফরম পূরণ ও আমাদের ফটোস্ট্যাট মেশিন দিয়ে বিনা খরচে প্রিন্ট করে দেই’।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারসহ সরকারি ছুটির দিন গণগ্রন্থাগার বন্ধ থাকে। বাকি পাঁচদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৬ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
এএসআর