চারজন লোকবল দিয়ে পরিচালিত গণগ্রন্থাগারটিতে একসঙ্গে দেড়শ’ জনের বসে পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিদিন সব বয়সী ও শ্রেণী-পেশার পাঠকদের উপস্থিতিতে জমজমাট হয়ে ওঠে।
১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সরকারি লাইব্রেরিটি ৫২ বছর ধরে মুন্সীগঞ্জে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে। ২০১১ সালে ২৬ শতাংশ জমিতে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নিজস্ব ভবনে গণগ্রন্থাগারটি স্থানান্তরের পর থেকে পাঠকদের আগ্রহ আরও বাড়ছে।
গণগ্রন্থাগারের সহকারী লাইব্রেরীয়ান এস এম জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এখনও বইয়ের কদর আছে। বই পড়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ এখনও লক্ষ্যনীয়। আমাদের এখানে প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে সাত হাজার পাঠক আসেন। এপ্রিল মাসে আসেন দুই হাজার জন নারী, চার হাজার ৪৩০ জন পুরুষ এবং ১ হাজার ২০০ জন শিশু-কিশোর পাঠক’।
‘বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের চাহিদা বিবেচনা করে এখানে বই রাখা হয়। শিশু কর্নারেও শিশুদের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত বই ও পত্রিকা। এখানে লাইট, ফ্যান ইত্যাদি সুবিধাও যথেষ্ট’।
তবে পাঠকরা বলছেন, এখানে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ কম। ইন্টারনেট সংযোগসহ কম্পিউটার আছে মাত্র দু’টি। একটি অফিসের প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়, অন্যটি পাঠকদের জন্য।
লাইব্রেরিতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জোবায়ের আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘এখানকার পাঠের পরিবেশ ভালো। বই আর পত্রিকাও রয়েছে পর্যাপ্ত। ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ থাকলে আরো ভালো হতো’।
সহকারী লাইব্রেরিয়ান জানান, চারতলা ফাউন্ডেশনের ভবনটিতে একতলা সম্পন্ন হয়েছে। আস্তে আস্তে পূর্ণাঙ্গ করে সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানো হবে’।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৪ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
এএসআর