এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও গাছের পাশে রাখা দু’টি মোটর সাইকেল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুধবার (১৭ মে) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের সামনে এবং মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যের ডান পাশে শান্ত চত্বরের গাছটি কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছাড়াই উপড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কৃষ্ণচূড়া গাছটি যখন পড়ে তখন আমরা ক্যান্টিনের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। তখন ঝড় বৃষ্টি ছিল না। চোখের সামনেই কৃষ্ণচূড়া গাছটি শান্ত চত্বর থেকে দক্ষিণ দিকে বিকট শব্দে পড়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. কামরুল হোসাইন বাংলানিউজকে জানান, গাছটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের প্রতীক। শিক্ষার্থীদের আড্ডারও জায়গা ছিল এ গাছের চারপাশটা। ভাগ্য ভাল নতুন ভবন ও রফিক ভবনের মাঝের দক্ষিণ দিকের ফাঁকা জায়গায় পড়েছে, না হলে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো।
কৃষ্ণচূড়া গাছটি উপড়ে যাওয়ার পর পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেজুড়ে হৈ চৈ পড়ে যায়। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ্য নিরাপত্তা কর্মী সেলিম খান বাংলানিউজকে বলেন, আমি ৩৭ বছর ধরে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি। চাকরি শুরু করার আগ থেকেই এ গাছটিকে দেখে আসছি। আমি শুনেছি এ গাছটি ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে পরবর্তী সব ক’টি আন্দোলনের সাক্ষী।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে বলেন, কৃষ্ণচূড়া গাছটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ধারণ করেছিল। প্রায় শতবর্ষী এ গাছটি ঝড়-বৃষ্টি ছাড়াই উপড়ে পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, ১৭ মে, ২০১৭
ডিআর/এইচএ/