রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের কন্ট্রোলার তরুণ কুমার সরকার মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে বাংলানিউজকে জানান, উত্তরপত্র উদ্ধারের ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক হবিবুর রহমানকে।
তিনি বলেন, কীভাবে ও কাদের মাধ্যমে উত্তরপত্রগুলো সেখানে গেলো তা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাজশাহীর নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও শাহ মখদুম কলেজের শিক্ষক মাসুদুল হাসানকে এরই মধ্যে ডেকে
জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে রাবির মন্নুজান হল থেকে এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের একশ’টি উত্তরপত্র উদ্ধার করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাসের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে বোর্ড থেকে উত্তরপত্রগুলো দেয়া হয়েছিল মূল্যায়ন করার জন্য। ওই উত্তরপত্রগুলোর কোড-২৬৮। কিন্তু তিনি উত্তরপত্রগুলো মূল্যায়নের জন্য শাহ্ মখদুম কলেজের প্রভাষক ও এমপিথ্রি কোচিং-এর রাবি শাখার পরিচালক মাসুদুল হাসানকে দেন। মাসুদুল হাসান আবার উত্তরপত্রগুলো তার কোচিং এ কর্মরত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে দেন। ওই শিক্ষার্থী মূল্যায়নের জন্য কিছু খাতা নিজের কাছে রাখেন আর কিছু খাতা মূল্যায়ন করে দেয়ার জন্য তার এক বান্ধবীকে দেন।
হল ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মন্নুজান হলের গণরুমের সামনের বারান্দায়
একটি ব্যাগে উত্তরপত্রগুলো পাওয়া যায়। উত্তরপত্র উদ্ধারের ঘটনায় হলের
কয়েকজন ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে কাউকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
এসআই