শুক্রবার (২৬ মে) সকালে তারা ওই শিক্ষকের আপত্তিকর ও যৌন হয়রানিমূলক আচরণের প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পুলিশ সুপার, ডি ডি এনএসআই মাগুরা ও স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
আবাসিক হলের ১৮ জন ছাত্রী স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে বলা হয়, এ কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেয়ার পর থেকে প্রফেসর মহব্বত হোসেন সময় অসময়ে মেয়েদের হোস্টেলে ঢুকে পড়েন।
২৫ মে ওই ছাত্রীদের অধ্যক্ষের কক্ষে আটকে রেখে এ বিষয়ে কোনোরকম মুখ না খোলার জন্য ভয়ভীতি দেখিয়েছেন ওই অধ্যক্ষ।
এ প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ মহব্বত হোসেন জানান, তিনি এ কলেজে আসার পর প্রশাসনিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর মধ্যে কলেজে নিয়মিত উপস্থিতি, নিয়মিত ক্লাস, ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাব পরিচালনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার কাজ শুরু করেছেন। ফলে কলেজের কিছু শিক্ষকের প্রাইভেট ব্যবসায় সমস্যা হয়। ওই শিক্ষকরাই তার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের দিয়ে নানাভাবে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন বলে তিনি জানান।
এ প্রসঙ্গে মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, ‘অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দায়ের করা ওই ছাত্রীদের একটি লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। অভিযোগটি একজন সিনিয়র অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৭
আরএ