খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো হলের ডাইনিং বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ অধিকাংশ হল ক্যান্টিনও।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৮মে) থেকে রাবিতে ৩৪ দিনের গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হয়েছে। তবে এবার ছুটির মধ্যেও ১৭টি আবাসিক হল খোলা রাখা হয়েছে। কিন্তু ছুটি শুরু দিন থেকে আবাসিক শিক্ষার্থীদের খাবারের জন্য নির্ধারিত হলের ডাইনিং-ক্যান্টিন বন্ধ রাখা হয়েছে। খোলা থাকা অল্প ক’টি হল ক্যান্টিনে অতিরিক্ত চাপ বেড়েছে।
এদিকে সুযোগ বুঝে খাবারের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়েছে ক্যান্টিন মালিকরা। তবুও মিলছে না মানসম্মত খাবার। অল্প সময়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে খাবার। বাধ্য হয়ে সেহরির খাবারের জন্য শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর ও স্টেশন বাজারে যেতে হচ্ছে। ছাত্রী হলগুলোর কয়েকটি ডাইনিং খোলা থাকলেও দু’তিনদিনের মধ্যে তা বন্ধ করা হবে বলে নোটিশ দেয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্লাস বন্ধ হলেও পরীক্ষা চলছে। রমজান মাসে সন্ধ্যা রাত এবং সেহরির সময় খাবার রান্না করবে নাকি পড়বে তা নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই শিক্ষার্থীদের। ডাইনিং-ক্যান্টিন বন্ধের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করে তা খোলা রাখার দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আনিসুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বিষয়টি আমারও অবগত। কিন্তু অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী হলে আছে। তাদের জন্য নিয়মিত ডাইনিং চালানো সম্ভব নয় জানিয়ে ডাইনিং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা বন্ধ রাখার অনুমতি চেয়ে আমাদের কাছে আবেদন করে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৭
আরএ