এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল ও কোয়ার্টার সংলগ্ন এলাকা থেকে পাগলা কুকুর নিধন করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
বৃহস্পতিবার (০১ জুন) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ কুকুর নিধন।
গত দুই মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক হারে কুকুরে উৎপাত বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন সময় কুকুরগুলো দলবদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হিংস্র হয়ে উঠে। সুযোগ বুঝে বসিয়ে দেয় কামড়।
গত দুই মাসে সাংবাদিকসহ ১৫ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে কুকুরে কামড় দেয়। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানকে জানালে কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে এ নিয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের সঙ্গে কথা বললে প্রক্টর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কুকুর নিধন করা যাচ্ছে না বলে বাংলানিউজকে জানান।
পরে ১২ মে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম-এ ‘ইবিতে কুকুর আতংকে শিক্ষার্থীরা, নির্বিকার প্রশাসন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাটি প্রশাসনের নজরে এলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কুকুর নিধনের উদ্যোগ নেয়।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘দীঘদিন ধরে পাগলা কুকুর ক্যাম্পাসের ছাত্র-ছাত্রীদের পায়ে কামড় দেয়াসহ অস্বস্থিকর পরিবেশ সৃষ্টি করায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে কুকুর নিধন গণ দাবিতে পরিণত হয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে সকাল থেকে কুকুর নিধন শুরু হয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৭
আরবি/