সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করেছে বলে জানান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আশফাকুস সালেহীন।
রাত ১২টার পর তিনি বাংলানিউজকে জানান, প্রথম তালিকায় ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৪৮ জন একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।
মনোনীতদের তালিকা কলেজ ভর্তির সরকারি ওয়েবসাইট (www.xiclassadmission.gov.bd) থেকে পাওয়া যাবে।
এছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএস করেও প্রার্থীদের জানানো হচ্ছে বলে জানান আশফাকুস সালেহীন।
মনোনীত আবেদনকারীকে ৮ জুন রাত ১১.৫৯ মিনিটের মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং চার্জ বাদে ১৮৫ টাকা (টেলিটক, শিওর ক্যাশ এবং রকেটের মাধ্যমে) জমা দিয়ে ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে। অন্যথায় মনোনয়ন ও ভর্তির আবেদন বাতিল হবে।
ভর্তি নিশ্চায়নের জন্য ভর্তি নির্দেশিকা ও অনলাইন ভর্তির ওয়েবসাইটে নির্দেশাবলী অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।
আদেনকারীদের মধ্যে ৯৫ দশমিক ০৩ শতাংশ প্রথম তালিকায় এসেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বাকীগুলো দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তালিকায় চলে আসবে। আগামী ১৩ জুন দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হবে।
একাদশে ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী, ভর্তি শুরু হবে ২০ জুন, ১ জুলাই থেকে শুরু হবে ক্লাস।
বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও এসএসসির ফলের ভিত্তিতেই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য গত ৯ মে থেকে অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। ২৬ মে পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করেন।
নীতিমালা অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ভর্তি ২০ জুন শুরু হয়ে শেষ হবে ২২ জুন। ঈদের ছুটির পর ২৮ ও ২৯ জুন ভর্তি করা হবে। শুধুমাত্র পুনঃনিরীক্ষণে ফলাফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের ৩০-৩১ মে আবেদন গ্রহণ করা হবে। শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করা হবে ৬-৮ জুন পর্যন্ত।
দ্বিতীয় পর্যায়ে মনোনীতদের ফল প্রকাশ করা হবে ১৩ জুন এবং তৃতীয় পর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হবে ১৮ জুন।
এছাড়া ১৩ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন ও তৃতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সিলেকশন নিশ্চয়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ জুন।
গত ৪ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়, যাতে গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩০ শতাংশ। আট বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে পাসের হার ৮১ দশমিক ২১ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিলে পাসের হার ৭৬ দশমিক ২০ ও কারিগরি বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
এবার ১৭ লাখ ৮১ হাজার ৯৬২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন। উত্তীর্ণরা ভর্তির জন্য আবেদন করেন।
নীতিমালা অনুযায়ী, মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেশন চার্জসহ সর্বসাকুল্যে এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকার বেশি ফি নেওয়া যাবে না।
ঢাকা মহানগর এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে পাঁচ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না। ঢাকা মহানগর এলাকায় আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও এমপিও বহির্ভুত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য ভর্তির সময় মাসিক বেতন, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফি বাবদ বাংলা মাধ্যমে নয় হাজার এবং ইংরেজি মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান তিন হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না।
দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ফি যতদূর সম্ভব মওকুফ করতে বলেছে সরকার।
ভর্তি নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে অনুমোদিত ফির বেশি নিলে বেসরকারি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পাঠদানের অনুমতি বাতিলসহ এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৯ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৭
এমআইএইচ/এসএইচ