বুধবার (৭ জুন) দুপুরে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। আয়োজন করেছে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ঢাকাবাসী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, ফল উৎসব, পিঠা উৎসবের মতো মেহেদী উৎসব আমাদের ঐতিহ্যবাহী একটি সাংস্কৃতিক উৎসব। ক্রমান্বয়ে এসব গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। একে সংরক্ষণ করতে হলে এ ধরনের অনুষ্ঠানের প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি বলেন, মেহেদী উৎসব আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটা অংশ। মঙ্গলশোভাযাত্রার মতো এ মেহেদী উৎসবও একদিন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাবে। যে জাতি তার সংস্কৃতিকে সম্মান করে না সে জাতি উন্নত হতে পারে না।
প্রতিযোগিতায় শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের র্শিক্ষার্থী সিথী দাস বলেন, প্রথমবার নিজের হলে এমন একটা আনন্দঘন অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বান্ধবীর সঙ্গে এমন একটা ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতিহা জান্নাত বলেন, মেহেদীর রঙে এখানে সবাই সুন্দর করে সাজছে। সবার রঙিন হাত দেখে খুব ভালো লাগছে।
প্রতিযোগিতার বিচারক এবং ঢাকাবাসী সগঠনের মহাসচিব শাহীন পারভীন বলেন, মেহেদী উৎসব ঢাকার একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। ঈদ সামনে রেখে ঢাকাবাসী সংগঠনের প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় এবারের এ আয়োজন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাবাসীর উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আজফারুজ্জামান সোহরাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম সামছুজ্জোহা, এলিট কসমেটিকস লি. এর পরিচালক (অপারেশন) বাসু রায় চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৭
এসকেবি/এএ