শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, ইংরেজি ভীতির কারণে এবারের পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে এই বিষয়েই। শিক্ষাজীবনের শুরু থেকে ইংরেজির প্রতি শিক্ষার্থীদের ভয়ের কারণে ফল বিপর্যয় হয়েছে।
সাত বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১১ সালে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৯ দশমিক ০১ শতাংশ। ২০১২ সালে ছিল ৭৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২০১৩ সালে ছিল ৭৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২০১৪ সালে ছিল ৭৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ২০১৫ সালে ছিল ৭৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ। ২০১৬ সালে ছিল ৭৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর ২০১৭ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৭১ দশমিক ৩০ শতাংশে।
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় কেবল এক বিষয়েই অকৃতকার্য হয়েছে ২৭ হাজার ৪শ’ ৬১ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধস নেমেছে ইংরেজি বিষয়ে। অথচ গতবারও এক বিষয়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ১৭ হাজার ১শ’১৩ জন। যা এবার ১০ হাজার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৪শ’ ৬১ জনে।
আগের বছর এক বিষয়ে অকৃতকার্যের হার ছিল ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এবারে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৫৪ শতাংশে। ২০১১ সালে যা ছিল ১২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। ফলে বাড়তে বাড়তে ২০১৭ সালে এসে যে সংখ্যায় ঠেকেছে তা দেখে এবার চোখ কপালে উঠেছে শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তাদের।
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর তরুণ কুমার সরকার বাংলানিউজকে বলেন, এখনকার শিক্ষার্থীদের মনের মধ্যে ছাত্রজীবনের শুরুতেই ইংরেজি ভীতি ভর করছে। ১/২ পাতা ইংরেজি মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় লেখাকে তারা অনেকেই অসাধ্য ভেবে ফেলছে। এজন্য আমরা শ্রেণিকক্ষে ইরেজি বিষয়ে সব সময়ই বেশি গুরুত্ব দিতে বলি। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থীই তা গ্রহণ করতে চায় না।
তাই এখন থেকে ইংরেজিতে আরও গুরুত্ব দেওয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্দেশনা পাঠানো হবে। তবে এজন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও অভিভাবকদের অধিকতর উদ্যোগী হতে হবে। ইংরেজি বিষয়ে সন্তানদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারলে ভীতি কেটে যাবে বলে মনে করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে এবার পাসের হার ৭১ দশমিক ৩০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ২শ’ ৯৪ জন। সব বিষয়ে পাস করেছে ৮৬ হাজার ৮শ’ ৭২ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
এসএস/আরআর