ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

স্কুলের দপ্তরি কাম প্রহরীদের জাতীয়করণের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
স্কুলের দপ্তরি কাম প্রহরীদের জাতীয়করণের দাবি

ঢাকা: সারা বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৭ হাজার দপ্তরি কাম প্রহরীদেরকে জাতীয়করণের দাবি  জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতি। 

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট খোলা চিঠি প্রকাশের মাধ্যমে এ দাবি জানানো হয়।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন-  সংগঠনের সভাপতি সাধন কান্ত বাড়ই, মো. মজিবুর রহমান, কামাল হোসেন, সাইদ উদ্দিন, জীবন সাহাসহ সারা দেশ থেকে আগত প্রায় পাঁচ শতাধিক দপ্তরি কাম প্রহরী কর্মচারী ও সংগঠনের নেতারা।

বক্তারা প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন করে  বলেন, আমাদের বেশিরভাগ দপ্তরি কাম প্রহরীদের চাকরির বয়স চলে গেছে।  আপনি যদি আমাদের পদটি জাতীয়করণ না করেন তাহলে আমাদের যাওয়ার কোনো জায়গা থাকবে না। আমাদের মধ্যে অনেকেরই অকাল মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কোনো পেনশন ভাতা না থাকায় মৃত ব্যক্তিদের রেখে যাওয়া পরিবার-পরিজন বহু কষ্টে দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছেন। আমাদের ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করতে হয়, এমনকি সাপ্তাহিক ছুটিও নেই। বছরের ৩৬৫ দিনই নিরলসভাবে কাজ করতে হয়। যা বিশ্বের কোনো রাষ্ট্রে নেই। আমরা নিরলসভাবে বিদ্যালয়ে কাজ করছি ও করে যাবো।  

বক্তারা আরো বলেন, আমরা অনেকটা নিরুপায় হয়ে শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট এ দাবি জানাতে এসেছি। বাংলাদেশের ভয়াবহ বন্যায় বাড়িঢ়র হারানো  মানুষের আশ্রয় এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বের বুকে এক অকল্পনীয় বিষ্ময় স্থাপন করেছেন। অসহায় গরীব দুখী সম্বলহারা মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে আপনি যেভাবে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ঠিক তেমনি আমাদের মত অসহায় এবং মানসিক হতাশা গ্রস্থ দপ্তরি কাম প্রহরীদের বেলায় এমন দৃঢ় পদক্ষেপ নেবেন। যেন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে জীবন যাপন করতে পারি।  

ফেনী থেকে আসা ফেনী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে দপ্তরি জহির বাংলানিউজকে জানান, আমরা স্কুলের জন্য অনেক পরিশ্রম করি। কিন্তু আমরা কোনো প্রকার সুযোগ-সুবিধা ভোগ করি না। অথচ আমাদের সমপর্যায়ের অনেক মানুষ সরকারি পদে কাজ করে সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছে। একটি স্কুলে দপ্তরি কাম প্রহরী না থাকলে স্কুল চালানো একেবারেই অসম্ভব। আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা সত্ত্বেও অবহেলিত হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দিনাতিপাত করছি। তাই আজ এ দাবি নিয়ে এক প্রকার বাধ্য হয়ে উপস্থিত হয়েছি।  


বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
এমএএম/বিএস 


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।