সোমবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন সিলেট চা জনগোষ্ঠী ছাত্র-যুব কল্যাণ পরিষদ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সিলেট বিভাগে ১৫৮টি চা বাগান রয়েছে।
এ অবস্থায় একজন শ্রমিকের সন্তান কি করে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন দেখতে পারে? প্রশ্ন রেখে স্মারকলিপিতে বলা হয়, সরকার হয়তো নিজ স্বার্থে তাদের ভোটাধিকার দিয়েছে, কিন্তু অধিকার দেয়নি। অন্যের জমিতে বসবাসকারী পরাধীন জাতি চা শ্রমিকরা সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে নিজ সন্তানদের ভর্তির স্বপ্ন দেখা অবাস্তব।
এছাড়া চা বাগানের মালিক সমিতি কখনোই চায় না শ্রমিক সন্তানেরা ন্যূনতম শিক্ষায় শিক্ষিত হোক। বর্তমানে সভ্য সমাজের ছোঁয়ায় চা শ্রমিকদের সন্তানেরা শিক্ষাক্ষেত্রে কিঞ্চিৎমাত্র এগিয়ে আসছে। বাকিরা সুশিক্ষার অভাবে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ছে। অথচ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন ধরণের কোটা থাকলেও চা শ্রমিকদের সন্তানরা ভর্তির স্বপ্ন দেখতে পারছে না। ফলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের পথ মসৃণ করতে, স্বপ্ন বাস্তবায়নে শাবিপ্রবিতে পৃথক কোটা পদ্ধতি চালুর দাবি জানাচ্ছি।
স্মারকলিপি প্রদানকালে সংগঠনের সভাপতি দিলীপ রঞ্জন কুর্মী, সাধারণ সম্পাদক সুজিত বাড়াইক ও অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৭
এনইউ/আরআই