ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে আকর্ষণীয় স্কলারশিপে ভর্তি চলছে

শিক্ষা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৭
গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে আকর্ষণীয় স্কলারশিপে ভর্তি চলছে

ঢাকা: গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে আকর্ষণীয় স্কলারশিপে ভর্তি চলছে। মেধাবী, ছাত্রী, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, মুক্তিযোদ্ধা ও খেলোয়াড় কোটায় ভর্তিচ্ছুরা সর্বোচ্চ ১০০ ভাগ পর্যন্ত স্কলারশিপে ভর্তি হতে পারছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেও পাওয়া যাবে বিশেষ ছাড়। করপোরেট ও গ্রুপভিত্তিক ভর্তি হলে রয়েছে অতিরিক্ত ওয়েভার।

এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের যেকোনো নিয়োগে ৩০ শতাংশ কোটা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটদের জন্য সংরক্ষিত।

গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফল সেমিস্টারের ব্যাচেলর ও মাস্টার্স পর্যায়ের প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিবিএ, এমবিএ, ইএমবিএ, এলএলবি, এলএলএম, সমাজবিজ্ঞান, সিএসই, ইইই, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইংলিশ এবং ফিল্ম, টেলিভিশন ও ডিজিটাল মিডিয়া।

২০০৩ সালে গ্রিন ইউনিভার্সিটি যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে মিরপুর শেওড়াপাড়ায় মোট তিনটি ভবনে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যা শিগগিরই পূর্বাচল আমেরিকান সিটিস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলে যাবে। সেখানেই সুবিশাল জায়গা আর সবুজে ঘেরা পরিবেশে আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে পড়ালেখা করবেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা।

ছাত্র-শিক্ষক বিনিময় এবং যৌথ গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কানাডার ইউনিভার্সিটি অব রেজিনা, যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব হাডারস্ফিল্ড, চীনের বেইজিং ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচারাল ইউনিভার্সিটি (বিএলসিইউ) এবং উহান টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে এমওইউ ছাড়াও ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে বিশ্বের নামকরা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গ্রিন ইউনিভার্সিটির যোগাযোগ রয়েছে। অর্জন করেছে বিশ্বের বিখ্যাত ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্ট ও অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিজ ইন এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের সদস্য পদ।

জাপান যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ভাষার ওপর ‘নাট-টেস্ট’ পরীক্ষা বাংলাদেশে একমাত্র গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে হয়। এর বাইরেও বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থার সঙ্গে যৌথ গবেষণার চুক্তি রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদন ও অভ্যন্তরীণ তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১৮৩ জন শিক্ষক পাঠদান করছেন। যেখানে অধ্যাপক ১২জন, সহযোগী অধ্যাপক ৯জন, সহকারী অধ্যাপক ২৭জন এবং ১১৩জন লেকচারারসহ বেশ কিছু খণ্ডকালীন শিক্ষক রয়েছেন। সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একজন শিক্ষকের বিপরীতে মাত্র ২৪জন ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছেন। যে সূচক দেশের অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যায়ের চেয়ে এগিয়ে। একই উন্নতি স্টাফ-শিক্ষার্থী অনুপাতেও। এখানে মাত্র ২৯জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন স্টাফ কাজ করেন। সুবিশাল গ্রন্থাগারে রয়েছে প্রায় ২০হাজার বই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অন্তত ১০টি গবেষণা প্রজেক্ট পরিচালিত হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশেও গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ব্যাপক সামাজিক-সাংস্কৃতিক চর্চার সুব্যবস্থা রয়েছে। এজন্য গড়ে উঠেছে ১৭টি ক্লাব। রয়েছে উন্নত যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ ২৫টি ল্যাবরেটরি। Center for Career Development (CCD) নামে একটি সেন্টারের মাধ্যমে নিয়মিত ইন্টার্নশিপ ও চাকরির জন্য সর্বাত্মক সাহায্য করা হয়ে থাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য। ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্য বইয়ের সঙ্গে নিয়মিত বিষয়ভিত্তিক মাসিক সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, ক্যারিয়ার গঠনমূলক ওয়ার্কশপ, সাপ্তাহিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, স্টাডি ট্যুর, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্নামেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের গেমসে সস্পৃক্ত করাও এ গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন ওয়ার্ক।

‘কোয়ালিটি এডুকেশন’র জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি বিভাগ তাদের শিক্ষকদের নিয়ে সাপ্তাহিক মিটিংয়ের আয়োজন করে থাকে। সেখানে কোর্স কারিকুলাম, বিভাগের আভ্যন্তরীণ বিষয়াদি ও শিক্ষাদান পদ্ধতি সংক্রান্ত আলোচনা করা হয়ে থাকে। যার ফলে বিভাগগুলো নতুন সব চিন্তা-ধারণার সঙ্গে সংযুক্ত থেকে আপডেট থাকতে পারে। যুগোপযোগী ও বিশ্বমানের কোর্স কারিকুলাম নিশ্চিত করার জন্য গ্রিন ইউনিভার্সিটির প্রত্যেকটি বিভাগে পৃথক কোর্স কারিকুলাম কমিটি রয়েছে। যারা যুগপোযোগী কোর্স প্রণয়নের পাশাপাশি তা নিয়মিত আপডেট রাখতে সদা কাজ করেন।

এছাড়া গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুণগত মান বাড়ানোর জন্য Internal Quality Assurance Cell (IQAC) চালু আছে। এই সেলের অধীনে শিক্ষা কার্যক্রমের কোর্স প্রণয়ন, শিক্ষাদানে নতুনত্ব আনা, দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর মানোন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান, তাদের খেলাধুলার সুবিধা নিশ্চিতকরণসহ নানা ধরনের কাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার দৌড়ে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ সদা চেষ্টা করে যাচ্ছে। এজন্যই এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, সহ-শিক্ষাসহ আধুনিক অনেক বৈশিষ্টে অনন্য। দেশীয় সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও নীতি বজায় রেখে আমেরিকান ক্রেডিট পদ্ধতিতে গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাছাড়া ইতোমধ্যেই গ্রিন ইউনিভার্সিটির ডিগ্রি নিয়ে শিক্ষার্থীরা দেশে ও দেশের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
 
অধ্যাপক গোলাম সামদানী আরো বলেন, গ্রিন ইউনিভার্সিটির প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে চাই। শুধু তাই নয়, এই ধারা অব্যাহত রেখে অচিরেই এই প্রতিষ্ঠানকে দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপ দেয়ার প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তি সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন- ০১৭৫৭০৭৪৩০১-৩, ০১৮৬৫ ৬১৭৬১৯ অথবা ভিজিট করন- www.green.edu.bd.

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৭
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।