ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পরীক্ষার চাপ কমানোর কাজ চলছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৭
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পরীক্ষার চাপ কমানোর কাজ চলছে অতিরিক্ত সচিব মো. মহিউদ্দীন খান- ছবি- সুমন শেখ

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বাচ্চাদের ওপর পরীক্ষার চাপ কমিয়ে ছাত্রজীবন আনন্দময় করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মহিউদ্দীন খান।
 

জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার প্রথম দিন বুধবার (০১ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
 
এবছর জেএসসির নিয়মিত শিক্ষার্থীদের শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কর্মী ও জীবনমুখী শিক্ষা এবং চারু ও কারুকলা বিষয়ের পরীক্ষা হবে না।

এ তিন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে সরবারহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বছর নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ মোট ১০টি পত্রে ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
 
অতিরিক্ত সচিব বলেন, এই তিনটি বিষয়ের ধারাবাহিক অ্যাসেসমেন্ট হবে। বিষয়গুলোর নম্বর স্কুল থেকে কেন্দ্র সচিবের কাছে চলে আসবে। সেটা ইলেকট্রিক্যালি বোর্ডে পাঠিয়ে দেবে। চাপ কমানোর জন্য এটা করা হয়েছে।
 
এ সময় সেখানে উপস্থিত ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একটা অভিপ্রায় ছিল।
 
অতিরিক্ত সচিব বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ক্ষেত্রে চাপ কমানোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। উদ্দেশ্য হচ্ছে, বাচ্চাদের ওপর বিশেষ করে যারা জেএসসি পরীক্ষার্থী, এই কোমলমতি শিশুদের ওপর চাপটা যাতে কম পড়ে। পৃথিবীর অনেক দেশে, ইংল্যান্ডে প্রাইমারি লেভেলে বই বাসায় আনতে দেওয়া হয় না।
 
‘আমাদের এখানে দেখা যাচ্ছে বইয়ের ভারে বাচ্চারা নুইয়ে পড়ছে। প্রধানমন্ত্রী অলরেডি নির্দেশনা দিয়েছেন, ওনার নির্দেশনা অনুযায়ী বাচ্চাদের ওপর পরীক্ষার চাপ কমিয়ে তাদের জীবনটাকে কী করে আনন্দময় করা যায়, আমরা সেজন্য নানা ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। ’
   
জেএসসি পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায় সেজন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অতিরিক্ত সচিব।
 
তিনি বলেন, এবছর প্রথমবারের মতো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পরীক্ষা শুরুর অন্তত আধাঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। কেন্দ্র সচিবদের সুস্পষ্টভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কোনো কেন্দ্রে কেউ ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। শুধু কেন্দ্র সচিব একটি সাধারণ মোবাইল রাখতে পারবেন, যেটি দিয়ে কোনো ছবি তোলা যায় না।
 
এছাড়াও সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিয়েছি, বোর্ড থেকে কেন্দ্র সচিবদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে শুরু হয়েছে।
 
কুমিল্লাতে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার সময় নৌকা ডুবিতে দু’জন মারা গেছে এবং কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে। আমরা এ ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। যারা মারা গেছে তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
 
প্রশ্ন ফাঁসরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেকক্ষেত্রে গুজব। যেভাবে খবরটা আসে আমরা যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পাই না। সত্যতা পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এবারও খোদা না করুক, কোনো ধরনের ঘটনা আমাদের নজরে আসে আমরা সহযোগিতা চাই।
 
‘আমরা আশা করছি, যে ব্যবস্থা নিয়েছি, এবছর এ ধরনের ঘটনা হবে না। ’
 
পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব অরুণা বিশ্বাস।
 
১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে তিন ঘণ্টা।

৩০ মিনিট আগেই উপস্থিতি, বাধা পায়নি পরীক্ষার্থীরা

বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।