ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের এ পরীক্ষায় এবার ৮৬ জন বিশেষ বৈশিষ্ট্য সস্পন্ন (প্রতিবন্ধী) শিশু অংশ নিচ্ছে। এছাড়া যশোর জেলায় ইংরেজি মাধ্যমে পরীক্ষা দিচ্ছে ৭৩ জন শিক্ষার্থী।
শিক্ষা জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষার সনদপত্র অর্জন করতে রোববার (১৯ নভেম্বর) ইংরেজি পরীক্ষায় অংশ নেয় ক্ষুদে পরীক্ষার্থীরা। সারা দেশের সাথে একযোগে শুরু হওয়া প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানা গেছে, জেলায় এবার ১৩৫টি কেন্দ্রে ৫০ হাজার ৮৮১জন শিক্ষার্থী সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিতে তালিকাভুক্ত হয়। কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নেয় ৫০ হাজার ১৯২ জন। এদের মধ্যে বাঘারপাড়া উপজেলায় শতভাগ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এ উপজেলায় পরীক্ষার্থী ছিল ২ হাজার ৯৭৪ জন।
সদর উপজেলায় ১২ হাজার ১৪৭ জনের মধ্যে পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৩৮ জন। এরমধ্যে ২০ জন বালক ও ১৮ জন বালিকা। মণিরামপুর উপজেলায় ৬ হাজার ৪৮০ জনের মধ্যে পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৯ জন। এরমধ্যে ৪ জন বালক ও ৫ বালিকা।
অভয়নগর উপজেলায় ৩ হাজার ৮৫৬ জনের মধ্যে পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪ জন। এরমধ্যে ২ জন বালক ও ২ জন বালিকা। কেশবপুর উপজেলায় ৩ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪ জন। এরমধ্যে ২ জন বালক ও ২ বালিকা।
শার্শা উপজেলায় ৫ হাজার ১৭৭ জনের মধ্যে পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪ জন। এরমধ্যে ৩ জন বালক ও একজন বালিকা। চৌগাছা উপজেলায় ৪ হাজার ৬১০ জনের মধ্যে পরীক্ষায় শুধুমাত্র ২ জন বালক অনুপস্থিত ছিল।
ঝিকরগাছা উপজেলায় ৫ হাজার ১০৩ জনের মধ্যে পরীক্ষায় অনুপস্থিত ২ জন। এরমধ্যে ১ জন বালক ও ১ বালিকা।
সদরে ২১ জন, মণিরামপুর উপজেলায় ১৬ জন, বাঘারপাড়া উপজেলায় ৫ জন, শার্শা উপজেলায় ১৬ জন, ঝিকরগাছা উপজেলায় ২ জন, চৌগাছা উপজেলায় ৭ জন, কেশবপুর উপজেলায় ১৭ জন ও অভয়নগর উপজেলায় ২ জনসহ মোট ৮৬ জন বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ক্ষুদে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।
এদিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবপ্রসাদ পাল ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার অধিকারি বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
ইউজি/এমজেএফ