বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচটি অনুষদ, ৩৩টি বিভাগ, একটি ইনিস্টিটিউট এবং একটি ল্যাবরেটারি রয়েছে। ১২ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য রয়েছে ৩৫৬ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক।
এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৫ একরের ক্যাম্পাসটিতে রয়েছে দুইটি প্রশাসনিক ভবন, পাঁচটি অ্যাকাডেমিক ভবন, একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক মিলনায়তন, সমৃদ্ধ ও আধুনিক লাইব্রেরি, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার, ২১শে কর্ণারসহ বেশকিছু স্থাপনা।
আজ এই বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্মদিন। ৩৮ বছর পেরিয়ে ৩৯ বছরে পদার্পণ করেছে। দীর্ঘ ৩৮ বছরের পথচলায় সারা দেশব্যাপী সফলতার সঙ্গে রয়েছে বেশকিছু ব্যর্থতা। এর ফলে কাঙ্খিত লক্ষ্য থেকে বেশ দূরে রয়েছে শান্তিডাঙ্গার সবার প্রিয় এই ক্যাম্পাসটি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হক দুর্জয় বাংলানিউজকে বলেন, পুরানো বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যতটুকু এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো, তার বিন্দুমাত্রও চোখে পড়েনা। প্রতিদিন সকাল আটটায় বাসে করে ক্যাম্পাসে এসে আবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় শহরে পৌঁছাতে হয়। আবাসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে আমাদের এ সংকট কাটিয়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।
সামগ্রিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারি বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে চড়াই-উৎরাই এর মধ্যে দিয়ে সময় পার করে আসছে। বৃহৎ পরিকল্পনা হাতে নিলেও অবস্থানগত কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে প্রশাসন এ বৃত্ত থেকে বের হওয়ার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করি খুব দ্রুত আমরা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলব।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এনটি