শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ’ ব্যানারে অনশন কর্মসূচি শুরু হয়।
গত ২৭ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর শুক্রবার আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
সংগঠনটির পক্ষে সঞ্জয় দাস নামে এক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, গড় আয়ু যখন ৪৫ ছিলো তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়স ছিলো ২৭ বছর, যখন পঞ্চাশ হলো তখন ৩০ বছর করা হলো। এখন গড় আয়ু ৭২ বছর বছর কিন্তু চাকরিতে প্রবেশের বয়স অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।
সবুজ ভূঁইয়া নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, সরকারি নিয়ম অনুসরণ করে বেসেকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও বয়সসীমা ৩০ ছাড়া নিয়োগ দেয় না। এতে বেসরকারিতেও কর্মের সুযোগ সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। তাই অতি দ্রুত বয়সসীমা ৩৫ বছর করা দরকার।
আমরণ অনশনে অংশ নেওয়া ইমতিয়াজ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, উন্নত বিশ্বে যেখানে ৪০-৪৫ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা। সেখানে আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি। বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ৩৫ বছর করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পযর্ন্ত আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
এর আগে দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা থেকে একযোগে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৮
এমসি/জিপি