ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

দেশজুড়ে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৮
দেশজুড়ে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা। ছবি: সুমন শেখ

ঢাকা: সারাদেশে কড়া নজরদারির মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সোমবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ২ হাজার ৫৪১টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে; যা গতবারের চেয়ে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৭১ জন বেশি।
 
আগামী ১৩ মে পর্যন্ত হবে এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা।

সকালের পরীক্ষা ১০টা থেকে এবং বিকেলের পরীক্ষা হবে দুপুর ২টা থেকে। ১৪ থেকে ২৩ মে’র মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

সকালে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়,  নিয়ম মেনে চেকিংয়ের পর পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকেই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়। মাইকে বলা হতে থাকে পরীক্ষার হলে ঢোকার নিয়ম-কানুন।  

এ কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ফটক থেকে সরে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের ভেতরে প্রবেশের জন্য তিনি অভিভাবকদের অনুরোধ করেন সেসময়।

কেন্দ্রের ফটকে দেখা যায়, প্রথম দিন বাংলা পরীক্ষা থাকায় পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড ছাড়া অন্য কোনো কাগজ এবং ঘড়ি ও ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ছাড়াই ঢুকছে কেন্দ্রে ঢুকছে।  

কলেজের গেটেও নিরাপত্তা প্রহরীদের কড়া তল্লাশি লক্ষ্য করা গেছে।  

তবে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকদের আসার কারণে রাস্তায় তীব্র যানজট লক্ষ্য করা গেছে। এসময় পুলিশসহ নিরাপত্তা কর্মীদেরও সচেষ্ট থাকতে দেখা গেছে যানজট নিয়ন্ত্রণে।  

এছাড়া কলেজের ভেতরে পরীক্ষার্থীরা ঢোকার পরও সিট খুঁজে পেতে কেন্দ্র সংশ্লিষ্টদের বেশ সচেষ্ট দেখা গেছে।

এবার মোট ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৭৩০ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ১৮ হাজার ৭২৭ জন ছাত্রী।
 
ঢাকার বাইরে এবার বিদেশের সাতটি কেন্দ্রে ২৯৯ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে, এরমধ্যে ১৫৯ জন ছাত্র এবং ১৪০ জন ছাত্রী।
 
এবার ২৮টি বিষয়ের ৫৪টি পত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হচ্ছে। গত বছরও ৫৪টি পত্রে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হয়।
 
এবারো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারছেন। এ ধরনের পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবেন।
 
আর অটিস্টিকসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময়। এ ধরনের শিক্ষার্থীরা অভিভাবক, শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন।

এদিকে, এবার প্রশ্নফাঁস রোধে সরকারের কড়া পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। এ ধরনের তৎপরতা প্রতিহত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ ২৮টি ইউনিট কাজ করবে। আর প্রশ্নফাঁসের তথ্য দিতে জরুরি সেবার ‘৯৯৯’ নম্বরে কল করা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৮
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।