সোমবার (৯ এপ্রিল) যৌন হয়রানির শিকার ওই দুই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক আজমল আলী কাওসার অভিযোগকারীদের মধ্যে এক ছাত্রীকে বেশ কয়েকদিন ধরেই আপত্তিকর প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়াও ওই শিক্ষক বিভিন্ন আপত্তিকর ছবি ওই শিক্ষার্থীর মেসেঞ্জারে পাঠাতেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী অভিযুক্ত আজমল আলীকে মেসেঞ্জার থেকে ব্লক করে দেন।
গত রোববার (০৮ এপ্রিল) রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রী তার আত্মীয়দের সহায়তায় বিভাগের সভাপতির কাছে অভিযোগ করলে বিষয়টি সাংবাদিকদের নজরে আসে।
জানা যায়, অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগের সভাপতি এবং অন্যান্য শিক্ষকরা এ ঘটনা মীমাংসার লক্ষ্যে বেশ কয়েকঘণ্টা বৈঠকও করেন। অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে সান্ধ্যকালীন এমবিএ’র ক্লাস থেকে এক বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হবে মর্মে বিভাগ নোটিশ দেবে, এমন সমঝোতার ভিত্তিতে বৈঠক শেষ হয়। তবে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়ে এখনো কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি বলে জানা যায়।
অনুসন্ধানে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরো নানা অভিযোগ উঠে আসে। জানা যায়, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে থাকা অবস্থায় কর্মচারী নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হিসেবে যোগদান করে ভাতা গ্রহণ করতেন।
এছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার জন্য ছুটি নিলেও সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি না করে চীনে চলে যান পিএইচডি করতে। ওই শিক্ষক এক বছরের ছুটিতে থাকা অবস্থায় আর্থিক সুবিধাগুলো ফেরত দেননি বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্বে) ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে দুই ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ’
জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক আজমল আলী কাওসার বলেন, ‘তারা কি লিখিত দিয়েছে তা আমি জানি না। তবে আমাদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। যা রোববার রাতে বিভাগে আলোচনা করে সমাধান দেওয়া হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৮
আরএ