সোমবার (০৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ-মিছিল বের করে জাবি শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পরিবহন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কোটা সংষ্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক খান মুনতাসির আরমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কেন পুলিশ হামলা করলো। এর বিচার দাবি করেন। একই সঙ্গে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ হামলার করেছে দাবি করে তাদের বিচার দাবি করেন। এসময় আহতদের প্রতি সমবেধনা ও অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) থেকে তিনদিন ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার সব ব্যয় বহন করবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। একই সঙ্গে আন্দোলনকে যৌক্তিক বলে দাবি করেন তিনি।
এরআগে সোমবার সকালে ‘সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, জাবি শাখার ব্যানারে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ-মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল, জলকামান ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এসময় প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। যাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৮
ওএইচ/